পায়ের জুতার মাহাত্ম্য বুঝাতে গিয়ে বিশ্বনন্দিত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরর বলেছিলেন, “একজন মেয়েকে ঠিক জুতা দিলে, সে বিশ্ব জয় করতে পারবে।”
এতেই বুঝা যায় এই অভিনেত্রীর কাছে তার পায়ের জুতা জোড়া কত খানি গুরুত্ব পেতো। কিন্তু আমরা কি সে কথা কখনো ভেবে দেখেছি। শুধুমাত্র ঘুমাতে যাওয়া ছাড়া যে জিনিসটি সার্বক্ষণিক আমাদের পায়ে থাকে সেটা কিভাবে ব্যবহার করা উচিত তা আমরা ভাবি না।
কিন্তু জীবনযাপন-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী জুতা কেনা উচিত। এছাড়া পা ও কাজের ধরন বুঝে জুতা নির্বাচন করা উচিত। এর ফলে সারাদিনের কাজ খুব সহজে ও আরামে সম্পন্ন করা যায়।
ওই প্রতিবেদনে জুতা ব্যবহারে ৬টি বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে-
১. নতুন ব্যায়াম শুরু করার ক্ষেত্রে পুরানো জুতা ব্যবহার না করা ভালো। অনেক সময় এটি আগের মতো ভালো কাজে নাও আসতে পারে।
২. ব্যায়াম করার জুতা কেবল মাত্র ব্যায়াম করার সময়ই পরা উচিত। সব জায়গায় ব্যায়াম করার জুতা পরার ফলে ব্যায়ামের উপযোগী জুতাটি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
৩. প্রত্যেকটি জুতার নির্দিষ্ট কাজ আছে। জিমের জন্য উপযোগী জুতা যে অন্য ক্ষেত্রের জন্যও সমান উপযোগী হবে তা ঠিক নয়। তাই যে কোনো কাজের গুরুত্ব বা তীব্রতা বুঝে সেই অনুযায়ী জুতা নির্বাচন করা উচিত।
৪. ব্যায়াম করার জুতা সাধারণত এক বছর টেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রানারদের (দৌড়বিদ) প্রতি ৫০০ মাইল পর জুতা পরিবর্তন করতে হয়। আপনার জুতা সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়ামের জন্য ব্যবহার করে থাকেন, তবে নিশ্চিন্তে তা এক বছর ব্যবহার করতে পারবেন।
৫. প্রতি বছরেই জুতার মাপ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। বলা হয়ে থাকে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে পায়ের মাপও বাড়তে থাকে।
৬. দর কষাকষির কথা বিবেচনা করে বহু ব্র্যান্ড ভিত্তিক দোকান থেকে জুতা কেনা ঠিক নয়। খেলার সামগ্রী বিক্রি করে এরকম দোকান থেকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী জুতা কেনা উচিত। পা পর্যবেক্ষণ করে, এরজন্য কোন ধরনের জুতা ঠিক হবে তা নির্বাচন করা প্রয়োজন।