ইরাকের উদ্বাস্তু শিবিরে অন্যান্যদের সঙ্গে দুসপ্তাহ ধরে ছিল এক ইয়াজিদি কিশোরী। এর আগের সপ্তাহে একবার আইএসআইএস জঙ্গিরা এসে তাঁকে ধর্ষণ করে গিয়েছে। ফের যাতে তাঁকে ধর্ষণ ও জঙ্গিদের লালসার শিকার না হতে হয়, সেজন্য নিজেকে শিবিরের ঘরেই গ্যাসোলিন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সে। ১৭ বছরের সেই হতভাগ্য কিশোরীর নাম ইয়াসমিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে তাঁকে উদ্বাস্তু শিবিরে অন্যান্যদের মতো আশ্রয় নিতে হয়েছে। সে তাঁবুর মধ্যেই ছিল। এমন সময়ে বাইরে শোনে ফিসফাঁস আওয়াজ। কথা কানে আসতেই সে বুঝতে পারে, ইরাকের আইএস জঙ্গিরা ফের তাকে ধর্ষণের ফন্দি এঁটেছে। এসব শুনে নিজেকে জঙ্গিদের কাম ও লালসার হাত থেকে বাঁচাতে তাঁবুর মধ্যেই রাখা গ্যাসোলিন দিয়ে নিজেকে মুখে আগুন লাগিয়ে দেয় ইয়াসমিন। আগুনে তাঁর চুল, মুখ, নাক, ঠোঁট ও কান পুড়ে গিয়েছে। উত্তর ইরাকের উদ্বাস্তু শিবিরে এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে গতবছরে। কিশোরী এতটাই ভেঙে পড়েছে যে সবসময়ই তার মনে হচ্ছে জঙ্গিরা তার দিকে তেড়ে আসছে ধর্ষণের জন্য। আপাতত তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসক গোটা ঘটনাটি জানতে পেরে সকলকে জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ৩ অগাস্ট উত্তর ইরাকের সিঞ্জর প্রদেশ ঘিরে নেয় আইএস জঙ্গিরা। এখানে ইয়াজিদিরাই সংখ্যাগুরু। সেখানে ইয়াজিদিদের তিনটি দলে ভাগ করা হয়। একদল যুবক যাদের আইএসে যোগ দেওয়ানো হয়। দ্বিতীয়ত বয়স্ক পুরুষদের, যাদের ইসলাম না কবুল করলে মেরে ফেলা হবে বলে জানানো হয়। এবং তৃতীয়ত একটি দলে মহিলাদের আনা হয় এবং তাদের ইয়াসমিনের মতো যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হয়েছিল।