একেই বলে সর্ষের মধ্যে ভূত! এতদিন আকাশপথে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে যেত একাধিক ব্যক্তি। অধিকাংশই হয় কোনও বিমানযাত্রী নয় তো বিমানকর্মী। কিন্তু এবার সোনা পাচার করতে গিয়ে জালে খোদ বিমানচালক! এয়ার ইন্ডিয়ার সিনিয়র পাইলট বিজয় প্রতাপের মাসিক বেতন সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। তা সত্ত্বেও কীভাবে সে চোরাচালানের মতো কুকর্মে জড়াল, ভেবেই অবাক হচ্ছেন তার সহকর্মীরা।
মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এআইইউ) সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার এই পাইলট জেড্ডা থেকে বিমানে বেশ কয়েকটি সোনার বার নিয়ে যাচ্ছিল। তাঁর কাছ থেকে ৫৩০ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মূল্য ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। বুধবার মুম্বই বিমানবন্দরে বমাল ধরা হয় তাকে। অভিবাসন দফতরের এক আধিকারিক জানান, জেড্ডা থেকে পুরো সফরে ধরা না পড়লেও এআইইউ-র চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি সে। যদিও তাঁর কাছে ২০ লক্ষ টাকার চেয়ে কম মূল্যের সোনা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিবাসন দফতরের এক আধিকারিক জানান, সোনা পাচারের কথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছে প্রতাপ। যদিও এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।