ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরের পুরনো অংশে দায়েশের শেষ ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এর মাধ্যমে দৃশ্যত দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের দখলদারিত্বের অবসান হলো। ইরাকি সেনাবাহিনীর জয়েন্ট অপারেশন্স কমান্ডের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রাসূল বলেছেন, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে দায়েশ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি যে এলাকায় দাঁড়িয়ে কথিত খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার পুরোটাই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, দায়েশের হাত থেকে শনিবার পুরান মসুলের নুজাইফি স্ট্রিটের পাশাপাশি আত-তুব ও আস-সাগা এলাকা পুনরুদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসব এলাকাকে এতদিন দায়েশের শেষ ঘাঁটি বলে মনে করা হচ্ছিল। এদিকে ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম মসুল থেকে পূর্ব মসুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ৩৫ দায়েশ জঙ্গিকে হত্যা করেছে সরকারি সেনারা।
স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ইরাকের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করে। এর প্রায় ১০০ দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি টাইগ্রিস নদী দিয়ে বিভক্ত শহরটির পূর্ব অংশ থেকে দায়েশকে পুরোপুরি নির্মূল করা হয়। এরপর পশ্চিম মসুলের পুরনো অংশে শক্তভাবে গেড়ে বসে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। এ কারণে মসুলের এই অংশ পুনরুদ্ধার করতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লেগে যায়।