কহো না পেয়ার হ্যায়’-র সুবাদেই তাঁকে চিনেছেন সিনেপ্রেমীরা। তারপর বেশ ক’টি ছবি করলেও দর্শকদের মনে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি আমিশা প্যাটেল। ইদানীং দীপিকা-প্রিয়াঙ্কা-আলিয়াদের ভিড়ে আর তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। সেই আমিশা প্যাটেল কাজে ব্যস্ত শুনে নেটিজেনরা হেসেই খুন। সঙ্গে খোলামেলা পোশাকের জন্য তাঁকে একহাত নিতেও ছাড়লেন না তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সব তারকারই হাঁড়ির খবর পান নেটিজেনরা। বড়পর্দায় কাজের সুযোগ না পেলেও চর্চায় থাকতে অনেক তারকাই নেটদুনিয়ায় নিজেদের অ্যাকটিভ রাখেন। আর সেখান থেকেই খোঁজ মিলল আমিশারও। দিন দুয়েক আগে কাজের কারণে ভোরে উঠে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন আমিশা। কিন্তু তাতে যে নেটিজেনাদের এমন প্রতিক্রিয়া মিলবে, কে জানত।খোলামেলা পোশাকে আমিশা নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, “সকাল ৭ টায় শুটিং। যার জন্য ভোর ৫ টায় উঠে তৈরি হতে হচ্ছে। ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। কফি পান করতেই হবে।” আরেকটি ছবিতে ‘হামরাজ’-এর নায়িকার বক্তব্য, “সকাল সাতটার শিফ্ট। শুটিং আছে।” আমিশার মন্তব্য শুনে হাসি যেন আর থামছে না নেটিজেনদের। অনেকে লিখেছেন, “আপনার হাতে তো কোনও কাজই নেই। আবার শুটিং কিসের?” তবে শুধু কাজের জন্যই নয়, বক্ষবিভাজিকা উন্মুক্ত করা কালো পোশাকটির জন্যও বেশ কিছু অশালীন মক্তব্যের শিকার হতে হল অভিনেত্রীকে। কেউ তাঁর শরীরকে সানি লিওনের সঙ্গে তুলনা করেছেন তো কারও বক্তব্য আমিশার পর্নোগ্রাফিতে নাম লেখানো উচিত।
সানিয়া মির্জা থেকে মিতালি রাজ, জাহ্নবী কাপুর থেকে এষা গুপ্তা, পোশাকের জন্য কম বেশি সব মহিলা তারকাদেরই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয়। খোলামেলা পোশাক পড়লেই উড়ে আসে অশালীন মন্তব্য। এমনকী যৌনকর্মীদের সঙ্গেও তুলনা টানা হয়। আর সেই কারণেই এসব মন্তব্য কানে তুলতে নারাজ আমিশা। তাই কমেন্টগুলির আর পালটা দেননি তিনি। নীরব থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, এসবে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন।