বিদ্যাশিক্ষায় বুদ্ধি চর্চা বাড়ে আমরা সবাই জানি। যারা শিক্ষিত নন তারা কি তবে বুদ্ধিমান নন? কালিদাস পন্ডিত যে ডালে বসেছিলেন সেই ডালই নাকি কাটছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্কুলের গন্ডিই পেরুতে পারেন নি। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন কলেজের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। তাই বলে কি তাদের বুদ্ধি কম ছিলো ?
বুদ্ধি আসলে, মানুষের জীবনে সার্বিক ক্ষেত্রের প্রয়োগিক জ্ঞানের যথার্থতা। সেই বুদ্ধি বাড়াতে দরকার উর্বর মস্তিষ্ক। আর উর্বরতা ধরে রাখতে চাই সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই চলুন জেনে নিই কোন কোন খাবার এই ভূমিকা পালনে অধিক কার্যকর।
মাছের তেল
মাছের তেলে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা অন্য খাবারে পাওয়া দুষ্কর। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি আসলেই ভালো। স্যামন, ম্যাকরেল, সারডিন, কড মতো সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে। সপ্তাহে দু’দিন এইরকম মাছ খেতে পারলে মস্তিষ্কে সমস্যা কম হবে।
ডিম
সু স্বাস্থের জন্য প্রতিদিন খাবার প্লেটে একটি করে সেদ্ধ ডিম রাখা জরুরী। ডিমে থাকে প্রচুর আয়রন। যা লোহিত কণিকা তৈরি করে রক্তের উপাদানে সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ সহজ করে। যা বুদ্ধি বাড়াতে কার্যকর।
গ্রিন টি
সঠিক মাত্রায় ব্রেণকে আদ্র রাখতে পারলে নিখুঁত কাজ করা সম্ভব। সাধারণত মস্তিষ্কের ৭০ শতাংশ আদ্র থাকা চাই। তাই যখনই ক্লান্ত লাগবে, এক কাপ গ্রিন টি পান করে নিন। এতে আছে পলিফেনল যা ইতিবাচক মনোভাব তৈরীতে সহায়ক। নিমেষে চনমনে হয়ে উঠবেন। সেইসঙ্গে স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটবে।
পাতাসহ সবজি
সবুজ রঙের পাতাসহ সবজি শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও পুষ্ট করে। প্রতিদিন খেলে স্মৃতি বিলুপ্তির মতো ঘটনা থেকে রেহাই পাবেন। বিশেষকরে পালং শাক, পুইশাক, ব্রুকোলি, ফুলকপি খাওয়া খুব উপকারি। কারণ, এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফলিট, বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন- সি।
ডার্ক চকোলেট
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন- ডার্ক চকোলেট ব্রেনের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকে ৭৫% কোকো যা সাধারণ কোন চকোলেট থাকেনা।পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া মস্তিষ্কে নিউরোন তৈরি করে যা নতুন বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট।
বাদাম
বাদামে থাকে ভিটামিন ই যা মস্তিষ্কের সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা কে বাড়ায়। আল্মন্ড, পেস্তা, চীনাবাদাম, যে কোন ধরণের বাদামই আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বাদাম খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সাময় হলো রাতে ঘুমানোর আগে অথবা একদম সকালে।
বীজ
তিল, সূর্যমূখীর বীজ অথবা মিষ্টিকুমড়ার বীজ মস্তিষ্কের জন্য দারুন ভালো। এতে আছে জিঙ্ক যা চিন্তাশক্তি বাড়ায়।
ডালিমের জুস
ডালিমের জুসে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যা ডিকেল এর বিরুদ্ধে কার্যকরী। পরীক্ষার দিনে আধাকাপ ডালিমের জুস আপনার কর্মক্ষমতা দারুন বাড়াবে।