আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

চুলের যত্নে ৪টি ঘরোয়া কন্ডিশনার

চুল রুক্ষ হয়ে গেছে? রুক্ষ চুল সুন্দর করতে ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। কিন্তু বাজারে যে সব কন্ডিশনার পাওয়া যায় সেগুলোতো বেশ দামী। তাছাড়া ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরী এসব কন্ডিশনার কি চুলের জন্য ভালো? এতো সব ঝামেলায় না গিয়ে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন কন্ডিনশনার।

চুল যখন রুক্ষ হয়ে যায় এবং উজ্জ্বলতা হারায় তখন তা ফিরিয়ে আনার এক মাত্র উপায় হলো কন্ডিশনার ব্যবহার করা। আর বাজারে যেসব কন্ডিশনার পাওয়া যায় সেগুলোর চাইতে ঘরে তৈরী কন্ডিশনার বেশি কার্যকর ও চুলের জন্য ভালো। তাই সহজেই বাসায় বানিয়ে ফেলা যায় এমন কিছু কন্ডিশনার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ভিনেগার

সব ধরণের চুলের জন্য ভিনেগার একটি ভালো কন্ডিশনার। চুল শ্যাম্পু করার পরে ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে চুল বেশ নরম ও উজ্জ্বল হয়। এক টেবিল চামচ ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ভিনেগার পানি দেয়ার পর চুল আবার পানি দিয়ে না ধুলেও চলে। এই পদ্ধতিতে মাত্র একবার ব্যবহার করলেই তফাৎটা বুঝে যাবেন।
মধু ও তেল

মধু ও তেল ব্যবহার করার পদ্ধতিটি হলো চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো ও উপকারী কন্ডিশনার। ২ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল ও ২ টেবিল চামচ মধুর সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি পুরো মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে এর পর চুল ধুয়ে ফেলুন ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে ঝরঝরে ও উজ্জ্বল।

কলা ও মধু

যারা সহজে নিজের চুল সামলাতে পারেন না কিংবা কোনো স্টাইল করতে পারেন না তাদের জন্য এই কন্ডিশনারটি অত্যন্ত উপকারী। কলা ও মধুর কন্ডিশনার ব্যবহার চুল সামলানো খুব সহজ হয়ে যায় এবং যেভাবে চুল স্টাইল করা হয় সেভাবেই চুল থাকে। একটা বেশি পাকা বড় কলার সাথে ২ টেবিল চামচ মধু, ৪ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল ও এক টেবিল চামচ ভেজিটেবল গ্লিসারিন মিশিয়ে পুরো মাথায় লাগিয়ে নিন। মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পড়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে নিন। ব্যস, আপনার চুল যে কোনো চুলের স্টাইলের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো।
মেয়োনেজ

ফাস্টফুডে খেতে গেলে যে জিনিসটি ছাড়া আমাদের চলেই না তা হলো মেয়োনেজ। মেয়োনেজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও চুলের জন্য খুবই উপকারী। মেয়োনেজ চুলকে কোমল ও উজ্জ্বল করে। এটা ব্যবহার করাও খুব সোজা। কিছুটা মেয়োনেজ নিয়ে পুরো মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে পুরো মাথায় ৩০ মিনিট পেঁচিয়ে রাখুন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।