মেয়েদের সৌন্দর্য হলো চুল। তাই সুন্দর চুলের যত্নও অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনই মেয়েদের চুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়; কখনো রোদের সঙ্গে অথবা বৃষ্টির সঙ্গে। আর সপ্তাহে দুই-তিন দিন তো দাওয়াত থাকেই। তাই চুলের ওপর বাড়তি চাপ প্রতিনিয়তই হচ্ছে। ব্যস্ত জীবনের মাঝে একটু সময় বের করে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন আবহাওয়া ও পরিবেশ বুঝে চুলের যত্ন এক দিনে চুলের ক্ষতি হয় না। ধীরে ধীরে চুলের রুক্ষ ভাব চোখে পড়ে। তাই প্রতিদিন সময় ও ধৈর্য নিয়ে চুলের ধরন বুঝে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুলের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আবহাওয়া ও পরিবেশ বুঝে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বৃষ্টিতে চুল ভিজলে ভেঙে যেতে পারে এবং পড়েও যায়। আবার চুলের যত্নে একটু ঘাটতি হলেই খুশকিও হতে পারে। তাই একজন চুল বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে চুলের নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সপ্তাহে দুই দিন তেল সপ্তাহে দুই দিন চুলে তেল লাগাতে হবে। আর যাঁদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ওলিভ অয়েল লাগাতে পারেন। মাথায় পুরো এক ঘণ্টা তেল রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে নিয়মিত চুলে তেল লাগালে চুলের স্বাভাবিক রূপের কোনো পরিবর্তন হবে না। চুল বুঝে শ্যাম্পু কারও চুল পাতলা আবার কারও ঘন হয়।
তাই চুলের ব্যালান্স বুঝে শ্যাম্পু কন্ডিশন করতে হবে। স্বাভাবিক ও রং করা চুলের শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা। স্বাভাবিক চুলের শ্যাম্পু স্বাভাবিক চুলের সৌন্দর্য প্রকৃতির উপহার। আর এই চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও নিয়মিত চুল শ্যাম্পু করতে হবে। অনেকের ধারণা, বেশি শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু তথ্যটা ভুল। চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করলে পরিষ্কার থাকে এবং এর স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। রং করা চুলের শ্যাম্পু রং এক ধরনের কেমিক্যাল। তাই যেকোনো সময় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। রং করা চুলে ভালো করে শ্যাম্পু না করা হলে চুল ভেঙে যায় এবং খুশকি হয়। তাই রং করা চুলে নিয়মিত প্রোটিন এবং মানসম্মত শ্যাম্পু লাগাতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে, সেখান থেকে ভালো পণ্যটাই আপনাকে বেছে নিতে হবে। পণ্যের গায়ে যে কথাগুলো লেখা থাকে, সেটা যত্ন করে পড়তে হবে। তারপর আপনার চুলের জন্য সেটা উপযোগী কি না, তা বুঝে কিনতে হবে। বিজ্ঞাপন দেখে বা অন্যের কথা শুনে পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো।