আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

বাড়তি মেদ ঝরাতে চান? দেখে নিন কি করবেন

অতিরিক্ত মেদ শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। অতিরিক্ত মেদ বিভিন্ন অসুখের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের লাইফ স্টাইল, খাওয়া দাওয়া প্রভৃতির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। যাতে কোনওভাবেই যেন শরীরের অতিরিক্ত মেদ না জমে। শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ কমানো গেলেও, বহু মানুষ এমনটা দাবি করেছেন যে, পেটের মেদ কোনওভাবেই কমাতে পারছেন না। পেটের মেদ কমানোর জন্য কী করবেন জেনে নিন।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পেট কিংবা কোমরের মেদ কমানোর জন্য ব্রেকফাস্টে বেশি পরিমানে খাবার খেতে হবে। তাঁরা বলছেন, যাঁরা সারাদিনে ৩ বারের বেশি সময় খাবার খান এবং ডিনারে বেশি পরিমানে খাবার খান, তাঁদের মধ্যে বডি মাস ইনডেক্স বৃদ্ধি পায়। এর ফল হিসেবে বিভিন্ন অসুখ দেখা দিতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটির গবেষক হানা জানাচ্ছেন যে, ব্রেকফাস্টে সবথেকে বেশি পরিমানে খাবার খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট এবং লাঞ্চ করতে হবে। রাতে খুব দেরিতে খাওয়া একেবারেই চলবে না। রাতে হালকা অর্থাত্‌ খুব কম পরিমানে খাবার খেতে হবে। স্ন্যাকস জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

১. প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

২. সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।

৩. চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনী, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।

৪. উচ্চ তেলযুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে। যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং বুঝেই ফেলেছেন যে এই খাবারগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

৫. পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।

৬. কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।

৭. যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।

৮. প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।

৯. ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।

সবকিছু করার পরেও আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্যায়াম। মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে।