আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন খাবার গুলো কম খাবেন?

আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার আছে, যা কম কম খাওয়াই ভালো। আসুন তৈরি করে নিই এমন একটা তালিকা।

চিনি ও চিনিযুক্ত পানীয়: সাদা চিনি, বাদামি চিনি, ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ, কর্ন সুগার, মধু—নানা নামের চিনি যুক্ত করা হয় বাজারজাত পানীয়তে। যে নামেই থাকুক, এগুলো সবই সহজ শর্করা, যা রক্তে শর্করা ও ওজন বাড়ায়। প্রতিদিন কেবল ছোট সাইজের এক ক্যান চিনিযুক্ত পানীয় (কোলা, জুস ইত্যাদি) বছরে আপনার ওজন বাড়াবে ১৫ পাউন্ড।

বেকারি: কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, কুকিজ—এসব বেকারির খাবারে থাকে বাড়তি চিনি, কিছু লবণ, প্রক্রিয়াজাত শর্করা, ট্রান্সফ্যাট নামের খারাপ চর্বি। এগুলো ক্ষতিকর।

সাদা শর্করা: শর্করা আমাদের মূল খাবার। কিন্তু সাদা ভাত, ময়দার তৈরি রুটি বা পরোটা, সাদা পাউরুটি, নুডলস, পাস্তা এগুলো সহজেই শর্করা ও ওজন বাড়ায়। তাই আঁশযুক্ত বা গোটা শস্যের তৈরি খাবার থেকে শর্করা বেছে নিন। বেছে নিন লাল বা মোটা ভাত, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড, ব্রাউন পাস্তা ইত্যাদি।

দুগ্ধজাত খাবার: বেশির ভাগ দুগ্ধজাত খাবারই মিষ্টিদ্রব্য। এ ছাড়া ঘন দুধ ও দুধের তৈরি পনির, মাখন, পায়েস, পুডিং, আইসক্রিম এগুলো সবই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত। ননিহীন দুধ বা কম ননিযুক্ত দুধ বেছে নেওয়া ভালো।

লাল মাংস: গরু ও খাসির মাংসের তৈরি নানা লোভনীয় পদের খাবার মাসে এক-দুই দিনে সীমিত করে নিন। আমিষের উৎস হিসেবে বেছে নিন মাছ, দুধ, ডিম, মুরগি, বাদাম ও ডাল।

দই কি স্বাস্থ্যকর খাবার?

ব্যাপারটা নির্ভর করছে আপনি কেমন দই কিনছেন, তার ওপর। সাধারণ দই কিনুন, তারপর নিজের পছন্দমতো ফলমূল ও মিষ্টি উপাদান যোগ করুন। মিষ্টি দই আসলে তেমন ভালো নয়।