খাদ্য নিরাপত্তা টিপস
খাদ্যকে নিরাপদ করার জন্য পরিছন্নতার বিকল্প কিছু নেই। তাই বাচ্চার জন্য কোন খাবার তৈরির পূর্বে বাসন-কোসনগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, পারলে গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। রান্না ঘরে সব সময় হাত ধোয়ার সাবান রাখুন এবং রান্নার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
কাঁচা মাছ-মাংস অন্য খাবারকে দুষিত করতে পারে, তাই সেই খাবারগুলো ফ্রিজ এর আলাদা চেম্বার এ রাখুন। এবং খাবারগুলো একটু আলাদা জায়গায় কাটুন। কাটার পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিবেন।
বাচ্চাদের খাবারগুলো রুমের তাপমাত্রায় রাখবেন না। যে খাবারগুলো গরম সেগুলো গরম জায়গায় আর ঠান্ডা খাবার গুলো ঠান্ডা জায়গায় রাখবেন। আর খাবার ২ ঘণ্টার বেশি জমিয়ে রাখা ঠিক না।
বাচ্চার খাবার যখন তাকে ১টি বাটিতে দেয়া হবে তখন তা না খেলেও সেটা ফেলে দিতে হবে। কারণ বাচ্চার চামচ যখন একবার তার মুখে যায় এবং সেটা আবার বাটিতে মিশে তখন তা থেকে অনুজীব জন্মাতে পারে।
কী কী খাবার দেয়া যাবে
ব্রোকলি, বাঁধাকপি, গাজর, ফুলকপি, ভূট্টা, সবুজ মটরশুটি, শাক সবুজ শাক (শাক, পাতা কপি, )আলু, কুমড়া, মিষ্টি ডাল, মিষ্টি আলু, শালগম, টমেটো, ব্লুবেরি, চেরি, আম, নাশপাতি, কাঁচা কলা, আলুবোখারা, বরই ইত্যাদি খাবারগুলো।
এই ধরনের সবজিগুলোকে প্রথমে ধুয়ে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। কিছু সবজি খোসা না ছাড়ালেও হয়।
সেগুলোকে পানি দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। বাকি সবজি খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার আরো পানি দিয়ে খাবারের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
মাংস রান্না করতে হলে প্রথমে ফ্রাই প্যান এ একটু তেল নিয়ে তাতে মাংসের ছোট টুকরা ছেড়ে দিন। গোলাপী রং চলে যাওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। ৬-৭ মিনিট। তারপর সেটিকে ব্লেন্ডার এ নিন এবং পানি মিশিয়ে নিন। প্রতি ৮ আউন্স মাংসের সাথে ২৫০ এমেল পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে জ্বাল দিয়ে নিন।
মাছ এর ক্ষেত্রে মাছ টুকরা করে সেদ্ধ করুন। মাছ থেকে কাটা এবং চামড়া ছাড়িয়ে নিন। পরে ব্লেন্ডার এ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
ডিম এর ক্ষেত্রে বাচ্চাকে অল্প সেদ্ধ ডিম খেতে দিতে পারেন অথবা ডিম পোচ করে দিতে পারেন।
আপনার শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। তবে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ এর বিকল্প নেই।