আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

ওভেন কেনার সময় যে সকল বিষয় জেনে কেনা উচিত

বাজার থেকে ওভেন কিনতে এখন বেশকিছু ব্র্যান্ড পাবেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই চীনের তৈরি। একটু নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি বলে এসব ওভেন বেশীদিন টেকসই হয় না। তাই চেষ্টা করুন বাজেটটা একটু বাড়িয়ে কোনো ব্র্যান্ড শোরুম থেকে ওভেন কিনতে। ঢাকাতে স্যামসাং, সিঙ্গার, ফিলিপস, ন্যাশনাল এর মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওভেন কিনতে পাওয়া যায়। এসব শোরুমে পাবেন মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং ইলেকট্রিক মাইক্রোওয়েভ ওভেন। আর ইলেকট্রিক ওভেন কিনতে গেলে স্টেডিয়াম মার্কেট, বাইতুল মোকাররাম, বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট এসব জায়গা থেকে কিনতে পারেন। এধরনের ইলেকট্রিক ওভেনের দাম পড়বে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ব্র্যান্ড আর সাইজ অনুপাতে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর ইলেকট্রিক মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনতে পারবেন ৮ হাজার থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব ওভেনের অধিকাংশই দেখা যায় সাদা আর কাল এই দুই রঙের হয়ে থাকে। আপনি এমন রঙের কিনুন যেটি আপনার ডাইনিং কিংবা কিচেনের ফার্নিচারের সাথে ম্যাচ করবে। পাশাপাশি সাদা রঙের জিনিসটা একটু দ্রুত ময়লা ধরে, সে কথাটাও মাথায় রাখুন।

রোটেসারি সিস্টেম

মূলত মাইক্রোওয়েভ ওভেনে এই রোটেসারি সিস্টেমটি থাকলেই আপনি মাইক্রোওয়েভ ওভেনেও ইলেকট্রিক ওভেনের মতো রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে তাহলে মাংস বা যে কিছু গ্রিল বা রোস্ট করা যাবে। আর গ্রিল করার বাদবাকি সব সরঞ্জামও দেয়া থাকবে ওভেনের সাথেই, তাই কেনার সময় সব কিছু প্যাকেট খুলে বুঝে নিন আর বাড়ি গিয়ে রান্না চরাবার আগে একটু ম্যানুয়াল বইটি উল্টেপাল্টে পড়ে নিন।

মাইক্রো ওভেন ও ইলেকট্রিক ওভেনের মধ্যে পার্থক্য কি ?

মাইক্রোওয়েভ ওভেনঃ প্রথম প্রথম খুব অবাক লাগত যে, আমি প্লেটে করে খাবার দিচ্ছি ওভেনে। খাবার গরম হচ্ছে, কিন্তু প্লেট গরম হচ্ছে না। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? কারণ ওভেন থেকে যে গরম বাতাস খাবারকে গরম করার কথা, তা তো একই সাথে প্লেটটিকেও গরম করার কথা! কিন্তু সেরকম তো হচ্ছে না! আমার উপরের ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল! মাইক্রোওয়েভ ওভেনে আসলে এরকম কোনই যন্ত্র নেই যা থেকে কোন গরম বাতাস বের হয়ে খাবারকে গরম করে (অবশ্য কনভেকশন সিস্টেম ওভেন এ হিটার থাকে বেকারি আইটেমের জন্য)। আসলে ‘মাইক্রোওভেন’ এই নামটিতেই অনেকটা এর কাজের মূলনীতি লুকানো আছে। কি? ধরতে পারলেন না? ইংরেজিতে ব্যাপারটি পরিস্কার বুঝতে পারবেন। Micro + wave + oven = Microwave oven (যাকে আমরা সচরাচর ‘মাইক্রোওভেন’ নামে ডেকে থাকি)।মাইক্রোওভেন এ আসলে মাইক্রোওয়েভস এর মাধ্যমে খাবার গরম করা হয়। সাধারণত 2500 মেগা হার্জ বা 2.5 গিগা হার্জ এর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় এসব যন্ত্রে। এই কম্পাঙ্কের তরঙ্গের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। তা হল এই কম্পাঙ্কের তরঙ্গ কেবলমাত্র পানি, চর্বি এবং চিনি জাতীয় বস্তু দ্বারা শোষিত হয়ে কম্পাংক তইরি করে। আর শোষিত হওয়া মাত্রই তরঙ্গটি আনবিক তাপগতিতে পরিণত হয় এবং বস্তুটিকে গরম করে। সিরামিক, গ্লাস এবং অধিকাংশ প্লাস্টিক এই তরঙ্গ শোষণ করতে পারে না, আর এই জন্যই ওভেনে পাত্র গরম হয় না এবং শক্তিরও অপচয় হয় না। মাইক্রো ওয়েভ ওভেনে কখনও ধাতব পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি বলা হয়ে থাকে কারণ ধাতব পাত্র মাইক্রো ওয়েবকে প্রতিফলিত করে এবং খাবার কে গরম হতে বাধা দেয় ইলেকট্রিক ওভেনঃ ইলেকট্রিক ওভেন এ সরাসরি হিটার লাগানো থাকে, এবং তা থেকে গরম বাতাস বের হয়ে খাবারকে গরম করে। আশাকরি পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন। আমার মতে মাইক্রো ওয়েব ওভেন ই ভাল। এভারেস পাওয়ার লস কম। 

 

মাইক্রো ওয়েভ ওভেন কি ও কেন?

এটি মূলত রান্নাঘরে ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র যা মূলত জলদি খাবার গরম করার কাজে ব্যবহার করা হয়। চুলায় না বসিয়ে পূর্বে রান্না করা খাবার পুনরায় গরম করার জন্য এটি খুব জনপ্রিয়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্রকারভেদ — মূলত মাইক্রোওয়েভ ওভেন তিন প্রকারের হয়ে থাকেঃ

Convection মাইক্রোওয়েভ ওভেন:

এর ফিচার হচ্ছে এতে একটি ফ্যান এবং তাপ প্রদানের উপাদান থাকে যা ওভেনের ভেতরে একটি বাতাস প্রবাহের একটি ধারা তৈরি করে। বাতাস প্রবাহ অতি দ্রুত রান্নাকে বাধা প্রদান করে এবং এবং খাবারের সমগ্র অংশে তাপ প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এই প্রকারের ওভেন বেকিং এবং খাবার খাস্তা রাখার জন্য উত্তম।

Grill মাইক্রোওয়েভ ওভেন:

এই ধরনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন মূলত খাবারকে বাইরে দিয়ে খাস্তা এবং ভিতর দিয়ে জুসি রাখার কাজে ব্যবহার করা হয়। কাবাব, পরোটা, টিক্কা ইত্যাদি জাতীয় খাবার তৈরির জন্য এই ধরণের ওভেন উত্তম।

Solo মাইক্রোওয়েভ ওভেন: 

এটি ব্যবহার করা যায় অনেকটা বেসিক ওভেন হিসেবে যা মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন দিয়ে ব্যবহৃত হয়। এটি খুব দ্রুততর সময় খাবারকে গরম করা এবং বরফজমা খাবার পাতলা করার কাজে ব্যবহার করা যায়। এটি উত্তম হচ্ছে বেকিং, পুনরায় তাপ প্রদান,বরফজমা খাবার পাতলাকরণ ইত্যাদি কাজের জন্য।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন কেনার পূর্বে ৭টি লক্ষণীয় বিষয় :

লেখা - ইন্টারনেট