উত্তর : আসলে বাচ্চাদের খাওয়ার অভ্যাসটি কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে। এরা পারিবারিক খাবারে খুব একটা অভ্যস্ত হচ্ছে না। আর গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত দোকানগুলো ঘরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। তারা চিপস, চকলেট, চানাচুর, আইসক্রিম এগুলো খাচ্ছে। ফাস্টফুড খাচ্ছে। আর শহরে ফাস্টফুডের ওপর নির্ভর হচ্ছে। ফাস্টফুডে আমরা জানি কিছু টেস্টি সল্ট থাকে, পনির থাকে—যেগুলো মজাদার। বাচ্চারা এ বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এখানে বেশি সমস্যা হয় যেখানে মা কর্মজীবী। মা-বাবা দুজনেই কিন্তু পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছে না। না পারার জন্য বাচ্চা যা খায় একেই আমরা মেনে নিচ্ছি। আঁশজাতীয় খাবার যদি সে না খায়, তাহলে পায়খানা শক্ত হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হয়। এটাই একটি বড় ধরনের কারণ হয়ে গেছে।
ছোটবেলায় আমরা বাড়ির খাবার শেয়ার করেছি। আমাদের কিন্তু সেভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছিল না। তবে এখন আপনি দেখেন প্রতিটি পরিবারে কৃত্রিম খাবার খাওয়ার একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এমনকি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বাদ দিয়ে কিন্তু কৃত্রিম দুধ দিচ্ছে। এসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা তো প্রায় প্রতিদিনের ব্যবহারে প্রচুর রোগী পাই, যেখানে রোগীরা এই অভিযোগ নিয়ে আসে।