ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানী লন্ডনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারা মধ্য লন্ডনে বিবিসি’র সদরদপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে সরকারের ব্যয় সংকোচন কার্যক্রমের ইতি টানার আহ্বান জানান। বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৮০ ব্যক্তি জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায়। শনিবার বিকেলে অন্তত ১০,০০০ মানুষ মধ্য লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ‘পিপলস অ্যাসেম্বলি অ্যাগেইনস্ট অস্টেরিটি’ নামের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। সংগঠনটি এর আগে এক অনলাইন বিবৃতিতে বলেছিল, ব্যয় সংকোচন নীতির প্রতি জনগণের বিরোধিতা যে সরকার উপলব্ধি করতে পেরেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান তারা।
ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি থেরেসা মে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, গত ১৪ জুন লন্ডনের ২৪ তলা যে ভবনটি পুড়ে গেছে তা ছিল সরকারের ‘ব্যয় সংকোচন নীতির ধ্বংসাত্মক প্রভাবের বহিঃপ্রকাশ।’ পশ্চিম লন্ডনে অভিজাত এলাকার কাছে সোশাল হাউজিং ব্লকে জরাজীর্ণ গ্রেনফেল টাওয়ারটির বাইরের রূপ বদলে অবয়বে চাকচিক্য আনতে ভবনটিকে মোড়ানো হয়েছিল নীল-সবুজ ধাতব আবরণে। আর একাজে সস্তা এবং অগ্নিনিরোধক নয়- এমন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল। ঠিক এ কারণে ২৪ তলা ওই ভবনে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে অনেকের ধারণা। করবিন দৃশ্যত ওই সস্তা আবরণ ব্যবহারকে ব্রিটিশ সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির ফল হিসেবে বর্ণনা করেন।