ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গেরিলা হামলায় ১৭ সেনা নিহত হওয়ার পর সেখানে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় এরইমধ্যে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
পাকিস্তান সীমান্তবর্তী উরি শহরে গত রোববার এ হামলা হয়। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। গেরিলা হামলার পর ভারতের অনেক রাজনীতিবিদ সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ কেউ তাদের ভাষায় বলেছেন, পাকিস্তানের ভেতরে প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ গেরিলা ঘাঁটিগুলোতে বিমান হামলা চালাতে হবে। ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং বলেছেন, তার সেনারা উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে কার বিরুদ্ধে এ জবাব দেয়া হবে তিনি তা বিস্তারিত বলেন নি। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, অপরাধীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজ ভারতীয় সেনারা উরি শহরের কাছে সীমান্ত বরাবর খোঁড়া তিনটি সরুপথের সন্ধান পেয়েছেন যাকে কর্মকর্তারা মনে করছেন গেরিলারা এ পথেই এসেছে। নয়াদিল্লিও গতকাল বলেছে, হামলার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত রয়েছে। তবে হামলায় কোনো ধরনের ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ভারতের সম্ভাব্য যেকোনো পদেক্ষপের বিষয়ে দেশটির গভীর নজর রাখছে।
ভারী অস্ত্র-শস্ত্র মোতায়েন করা এ সীমান্তে সেনা টহল বাড়িয়েছে ভারত। এ এলাকায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা প্রতি মূহুর্ত পরস্পরকে চোখে চোখে রাখে এবং মাঝে মধ্যেই দুপক্ষে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।