বিশেষজ্ঞরা বলেন, আঁশযুক্ত খাবার ও শাকসবজি বেশি খেলে পাকস্থলী তার সবটা সহজে পরিপাক করতে পারে না। কিছু খাবার অপরিপাক অবস্থায় চলে যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে। সেখানে কিছু ব্যাকটেরিয়া ওসব খাবার খায়। কিন্তু ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্ষণজীবী। মৃত ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে গ্যাস তৈরি হয়।
আবার অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়া হয়। ওষুধ পেটের ভিতরে বুদবুদগুলিকে একত্রিত করে৷ এর ফলে পেটের জমা গ্যাস সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে এবং পেটের চাপ কমে যাওয়ায় অস্বস্তি দূর হয়৷ তবে গ্যাসের সমস্যাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন উপায় নেই। গ্যাসের সমস্যা থেকেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং, কিডনিতে পাথর, আলসার ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
কিছু বিষয় মেনে চললে গ্যাস সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব-
• হজমে অসুবিধা হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন৷
• খাবার ধীরে খান৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
• স্ট্র ব্যবহার করে পানীয় পান করবেন না৷
• ধুমপান, অ্যালকোহল, চুইংগাম ও শক্ত চকোলেট খাওয়া বাদ দিন৷
• নরম পানীয় ও বিয়ার জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন৷ এগুলি শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে৷
• লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দীর্ঘ সময় পেট খালি না থাকে।
• খাবার খাওয়ার পর কিছু সময় হাঁটাহাটি করুন।
যদি গ্যাসের সমস্যায় ওষুধ খেতে না চান তবে বেশ কিছু ভেষজ চিকিৎসাও ব্যবহার করতে পারেন৷
• প্রাকৃতিক হজমিগুলিও খাওয়া যেতে পারে৷
• খাবার খাওয়ার পর সামান্য তেতো খাবার খান৷
• বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক চা যেমন সবুজ চা, পুদিনা চা, তুলসী চা এগুলো হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে।
• তেঁতুল পাতা মিহি করে বেটে নিন। এবার তেঁতুল পাতা বাটা এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে সহজেই।
• পেটে গ্যাসের সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া সমাধান হলো আদা খাওয়া। প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান। তাহলে পেটে গ্যাস জমবে না এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার থেকে মুক্তি মিলবে। যারা আদা সরাসরি খেতে পারেন না তাঁরা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন।