গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংসে পাওয়া যায় এমন কিছু পুষ্টি উপাদান নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতার জন্য উপকারী। তা ছাড়া সন্তান নেওয়ার চিন্তা করছেন, এমন দম্পতিদের সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্যও তা ভালো বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এ অবস্থায় লাল মাংস বা গরু, ভেড়া, ছাগলের মাংস খাওয়া উপকারে আসতে পারে। যুক্তরাজ্যের ফিমেলফার্স্ট সাময়িকী এ খবর জানিয়েছে।
লাল মাংসের গুণাগুণ ও পুষ্টি উপাদান নিয়ে গবেষণা ও তথ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের সংগঠন মিট অ্যাডভাইজরি প্যানেল এ গবেষণা চালিয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র ক্যারি রুক্সটন বলেছেন, লাল মাংস খেলে নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতা বাড়বে, এমন কথা নানান দেশে যুগ যুগ ধরেই প্রচলিত, লোকগল্পে। এখন আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে দেখছি যে, লাল মাংসে পাওয়া যায় এমন পুষ্টি উপাদানের সত্যি সত্যিই ভূমিকা আছে সাধারণ প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়েই প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্তির স্বল্পতার কারণে নারী-পুরুষদের খাদ্যে সেলেনিয়াম গ্রহণের হার কম। কিন্তু অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের প্রজনন সংক্রান্ত নানা জটিলতায় এবং আকস্মিক গর্ভপাত, ভ্রূণের বৃদ্ধি জটিলতা, নির্ধারিত সময়-পূর্ব প্রসবসহ অন্যান্য অনেক রোগের ক্ষেত্রেই সেলেনিয়াম ঘাটতির প্রভাব রয়েছে।
গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংসে যেহেতু প্রচুর সেলেনিয়াম পাওয়া যায়, তাই প্রাপ্তবয়স্কদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এর ভূমিকা থাকতে পারে। এ ছাড়া গর্ভধারণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি-৬ খুবই উপকারী, কেননা তা হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। আর এসব লাল মাংস ভিটামিন বি-৬-এরও একটি সহজলভ্য ভালো উত্স।
ক্যারি রুক্সটন আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য সরকার জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়ে থাকে যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা যেন সপ্তাহে অন্তত ৫০০ গ্রাম রান্না করা লাল মাংস খান। অর্থাত্ তাঁরা সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ বেলার খাবারে রান্না করা গরু, ভেড়া, ছাগল বা শূকরের মাংস খেতে পারেন।
তবে, অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, এ ধরনের মাংসে যাদের এলার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তাদের এ অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে। আর গর্ভধারণ বা গর্ভকালীন কারও বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা বা অন্য কোনো রোগ থাকলে সে সময়ে এমন মাংস খাওয়া যাবে কি না, তা অবশ্যই চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।