গত ২৯ এপ্রিল রাতে দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ‘ইচ্ছেনদী’ ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ে তাঁর অনুপস্থিতি সামাল দিতে কিছুটা হলেও গল্পে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিক্রমের মাথার চোট এখনও সম্পূর্ণ সারেনি। ধারাবাহিকেও তাই বিক্রমের দুর্ঘটনার প্রসঙ্গটি আনা হয়েছে। কিন্তু সনিকা মৃত্যু তদন্ত ক্রমশই জটিলতর হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই দু’বার পুলিশের ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছেন বিক্রম। আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতেই পারে যে কোনও মুহূর্তে।
এই অবস্থায় বিক্রমকে ছাড়াই কি এগিয়ে চলবে ‘ইচ্ছেনদী’? ধারাবাহিকের প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ‘বিক্রম তো এর মধ্যে দু’দিন শ্যুটিং করেছে। এখন ওই বাড়িতে ছোটছেলের বিয়ে। সেখানে বিক্রম অ্যাভেলেবল হলে কাজ করব, অ্যাভেলেবল না হলে কাজ করব না। তাতে আমার গল্পের দিক থেকে কোনও অসুবিধা নেই।’ অর্থাৎ বিক্রম কি শ্যুটিংয়ের জন্য সময় দিচ্ছেন না বা দিতে পারছেন না? লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, বিক্রম যেহেতু চ্যানেল কনট্র্যাক্টে রয়েছেন, তাই সিদ্ধান্তটা মূলত চ্যানেলেরই। স্টার জলসা যদি বিক্রমকে নিয়ে কাজ করতে চায় এবং বিক্রম যদি প্রযোজক সংস্থাকে জানান যে তিনি শ্যুটিংয়ে আসবেন, তবেই তাঁকে প্রোডাকশন টিম থেকে কল টাইম দেওয়া হবে। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন যে বিক্রমকে ছাড়া কাজ করতে হলেও তাঁর দিক থেকে কোনও অসুবিধা নেই কারণ ইতিমধ্যেই তাঁকে ছাড়াই বেশ কয়েকদিন শ্যুটিং হয়েছে। কিন্তু বিক্রম ছাড়া ‘ইচ্ছেনদী’ কি আগের মতো দর্শক টানতে পারবে? এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। যদিও আজকের টিআরপি তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পরে দেখা গিয়েছে যে এক সপ্তাহে বেড়ে গিয়েছে ‘ইচ্ছেনদী’-র টিআরপি। অর্থাৎ যাঁরা এই ধারাবাহিকটি নিয়মিত দেখতেন না, দুর্ঘটনার খবরের পর থেকে এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কারণে তাঁরাও ওই স্লটে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখছেন।তবে সত্যিই যদি বিক্রমকে ছাড়াই এগিয়ে চলতে হয় ‘ইচ্ছেনদী’-কে, তবে কি নতুন কোনও নায়ককে আনা হবে ধারাবাহিকে? সেটা অবশ্য আর কিছুদিন পরেই স্পষ্ট হবে।