গাড়ির শব্দ ও ধোঁয়ার দূষণ ছাড়া একটি দিন কেমন হতে পারে, প্যারিসবাসীদের সে অভিজ্ঞতা দিতেই এমন একটি দিনের ব্যবস্থা করা হয়। এমন দিনের সুফল ভোগ করেছেন সবাই। গাড়িপূর্ণ শহর যে কতটা অস্বাস্থ্যকর তা বুঝতে পেরেছেন।
কিন্তু এমন কিছু শহর রয়েছে যেগুলো সত্যি সত্যিই গাড়িমুক্ত হয়ে গেছে। তাহলে জেনে সেইসব যানমুক্ত শহর সম্পর্কে.....
১. ম্যাকিনাক আইল্যান্ড, মিশিগান:
লেক হর্ন-এর ম্যাকিনাক আইল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসতি গড়েছেন ৫০০ জন মানুষ। এখানে মানুষের সংখ্যা কেবলমাত্র বৃদ্ধি পায় পর্যটকের কারণে। তাদের জন্যে হোটেল ও মোটেলও রয়েছে। কিন্তু সবার জন্যে একটি সতর্কবাণী টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে- এখানে গাড়ি ঢুকতে পারবে না।
২. গায়েটহর্ন, নেদারল্যান্ডস:
গায়েটহর্নের নরডিক শহরে রাস্তার পরিবর্তে আছে সরু খাল। একে উত্তরের ভেনিস বলা হয়। এখানে কোনো গাড়ির হর্ন, শব্দ বা ধোঁয়া নেই। প্রকৃতির পুরো পরিবেশ এখানে স্বর্গ সৃষ্টি করেছে। প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে এবং নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ান।
৩. হাইড্রা, গ্রিস:
সারোনিক এবং আরগোলিক গালফের মধ্যে হাইড্রা নামের একটি দ্বীপ রয়েছে। এটা হাইড্রা পোর্টের মূল শহর। ক্লাসিক গ্রিক শহরে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র আর পাহাড়ের নিচে বাড়ি। এখানে কোনো গাড়ি নেই।
৪. ফায়ার আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক:
কেউ জানেন না এ শহরের নামটি কোথা থেকে এসেছে। তবে আগুনের এই শহরে বিরাজ করে এক অভাবনীয় শান্তি। এখানে গাড়ির কোনো প্রভাবই নেই। মূলত এই দ্বীপটি এমন বড় নয় যে এখানে চলাচলে গাড়ি প্রয়োজন পড়বে।
৫. পাকুয়েতা, ব্রাজিল:
উপকূলীয় একটি শহর। এখানে মূলত তামোইয়ো ইন্ডিয়ান ট্রাইব বাস করে। তাদের শহরে কোনো গাড়ি মিলবে না। মূল ভূখণ্ড ছাড়াই তারা টিকে থাকার ব্যবস্থা করে নিয়েছে।
৬.ভাওবান, জার্মানি:
ছোট এই শহরটিতে কোনো গাড়ি নেই। এ শহরটি এমন করেই গড়ে তোলা হয়েছে। পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এটি দারুণভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
৭. ভেনিস, ইতালি:
গাড়িবিহীন শহরের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি এমনিতেই বিখ্যাত একটি শহর। এখানেই ৫ম অব্দে রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল।