সান বার্ন, স্কিনের ঠিকমতো যত্ন না নেয়া, স্কিন পরিষ্কার না করা ইত্যাদি কারণে আমাদের স্কিনের ন্যাচারাল কালার আমরা হারিয়ে ফেলি। স্কিনের ব্রাইটনেস কমে যায়, স্কিন মলিন লাগে দেখতে। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকের গায়ের রংয়ের সাথে মুখের রং মিলছে না। অর্থাৎ, মুখ কালো লাগছে গায়ের রংয়ের থেকে। এই সব সমস্যা দূর করে স্কিনের ন্যাচারাল ব্রাইটনেস ফিরিয়ে আনবে একটি ন্যাচারাল লোশন। লোশনটি ব্যবহারের আগে মাথায় রাখবেন যেসব ব্যাপারগুলো-
এই লোশনটি কোনো রং ফর্সাকারী লোশন না।
এটি শুধুমাত্র আপনার স্কিনের ন্যাচারাল কালারকে ফিরিয়ে আনবে।
এটি আপনি খুব সহজেই মাত্র ২ টি উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারবেন। এই উপকরণগুলো সম্পূর্ণ ন্যাচারাল।
চলুন জেনে নিই, কী কী উপাদানের সাহায্যে এবং কীভাবে এই লোশনটি বানিয়ে নিবেন।
যা যা লাগছে-
একটি লেবু
১ চা চামচ চিনি
একটি পরিষ্কার ছোট কাঁচের বোতল
যেভাবে তৈরি করবেন:
প্রথমে লেবু কেটে নিন। লেবুর রস চিপে বের করে নিন। লেবুর রসটুকু ছেঁকে নিয়ে একটি পরিষ্কার পেয়ালায় রাখুন। ঐ লেবুর রস এর মধ্যে ১ চা চামচ চিনি দিয়ে নিন। চামচ দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
এবার, একটি ছোট পাতিলে মিশ্রনটি ঢেলে নিন। মিশ্রনটি চুলায় খুবই অল্প আঁচে জ্বাল দিন। যখন ফুটে উঠবে, তখন থেকে ১০ সেকেন্ড পরে চুলা বন্ধ করে দিন। লোশনটি লিকুইড টাইপ হবে। মিশ্রণটি নিজে থেকে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, একটি পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ঢেলে নিন। এই তো তৈরী হয়ে গেল আপনার স্কিন ব্রাইটেনিং লোশন। এটিকে ৭ দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
প্রথমে মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর, একটি ছোট কটনবলে লোশনটি নিয়ে পুরো ফেসে ব্যবহার করুন। চোখের এড়িয়া বাদ রাখবেন। এর লোশনটি ফেস প্যাকের মতো লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ২০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং মুছে নিন। এরপর আপনার পছন্দমত ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করুন। আশা করছি, ২-৩ দিনেই তফাৎ বুঝতে পারবেন।
আমার অভিজ্ঞতা :
আমি অনেক বছর ধরেই এই লোশনটি ব্যবহার করে আসছি। আমার জন্য এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে এসেছে এবং আমি আমার ত্বকের ব্রাইটনেস ফিরে পেয়েছি। যখনই আমার মুখ কালচে লাগে, তখনই আমি এই লোশনটি বানিয়ে ফেলি এবং ব্যবহার করি।
কিছু সাবধানতা :
এই লোশনটিতে যেহেতু লেবু ব্যবহার করা হয়েছে, সেহেতু ব্যবহারের পর মুখ একটু চুলকাতে পারে। এটি আমার ক্ষেত্রেও হয়। এটা একটু পরেই কমে যায়। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি আছে / ব্যবহারের পর জ্বালাপোড়া শুরু হলে সাথে সাথেই মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়াও কিছু টিপস :
প্রতিদিন ক্লিঞ্জিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং রুটিন মেনে চলুন।
সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাবিং করবেন।
বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।
আশা করছি, আমার এই ন্যাচারাল স্কিন ব্রাইটেনিং লোশনের রেসিপি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।