সয়া প্রোটিনঃ সয়া পণ্যে ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং কে থাকে যা পরিপাকের কাজে সাহায্য করে, ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা দান করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও এতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকে যা নতুন টিস্যুর গঠনে সাহায্য করে।
মধুঃ মধুতে চিনির তুলনায় ভিটামিন এবং অ্যামাইনো এসিড থাকে প্রচুর পরিমাণে। ক্ষত পরিষ্কার করে মধু লাগালে প্রদাহ, ব্যথা ও ফোলা কমে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ক্ষতের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ চামচ মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও দুগ্ধজাত পণ্য, মিষ্টিআলু, ঘি, হলুদ, জিংক, প্রোটিন ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
টমেটোঃ টমেটোতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা অন্য অনেক খাবারেই অনুপস্থিত। এই উপাদানটি জারণের বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এভাবেই ক্ষতের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে টমেটোর লাইকোপিন। ক্ষত নিরাময়ের জন্য সস হিসেবে বা সালাদের সাথে বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে টমেটো খান।
ব্রোকলিঃ ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজিতে উচ্চমাত্রার ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা ইনফ্লামেশন কমাতে ও ইমিউন ফাংশন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রক্তনালী থেকে শুরু করে ত্বকের উপরের স্তরের টিস্যুর বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সি যা ব্রোকলিতে আছে। এই সুস্বাদু সুপারফুডটি আপনার সকালের নাশতায় ডিমের সাথে বা পাস্তায় অথবা সালাদে যোগ করুন।
চকলেটঃ এটা শুনে খুশি হবেন যে সার্বিক সুস্বাস্থ্য বিশেষ করে ক্ষত নিরাময়ে উপকারী ভূমিকা রাখে চকলেট। কনটেম্পোরারি রিভিউজ ইন কার্ডিওভাস্কুলার মেডিসিন এর রিপোর্ট অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। ক্ষততে অক্সিজেন, পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন সরবরাহ করার প্রধান কাজটি করে রক্ত। এছাড়াও এতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা ইমিউন সিস্টেমকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে।