ফারসি শব্দ নেহারি অর্থ সকাল। সম্ভবত সকালে রুটি দিয়ে খাওয়া প্রচলন ছিল বলে এই নামকরণ হয়েছে। আভিধানিক অর্থে নেহারি অর্থ ‘পলান্ন ; ঘৃতপক্ব মাংসমিশ্রিত খিচুড়িজাতীয় খাদ্যবিশেষ।’ সুপের মতো সুস্বাদু এই নেহারি রান্নার প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। গরুর পা গুলো সাইজ মত টুকরা টুকরা করে কেটে ভাল করে ধুয়ে একটা বড় কড়াইয়ে নিন। সামান্য লবণ ও তেজপাতা দিয়ে ডুবো পানিতে ভাল করে জ্বাল দিতে থাকুন।পায়া জ্বাল দিলে শেওলার মত সবুজ/কালছে কিছু ময়লা বের হয়। তখন চামচ দিয়ে তা ফেলে দিতে হবে এবং এক পর্যায়ে পানি কমে গেলে আরো কিছু পানি দিতে হবে।জ্বাল চলতে থাকুক। ফাঁকে আপনি মশলা নিয়ে মাঠে নামুন! নিম্নের লিষ্ট অনুসারে মশলা সমূহ এক বাটিতে করে ফেলুন। চারটি গরুর পায়ার জন্য এমন অনুপাতে হতে পারে।
হলুদ – আধা চামচ
মরিচ – আধা চামচ
আদা – ২ চামচ
পেঁয়াজ – ৩ চামচ
রসুন – ২ চামচ
জিরা – ১ চামচ
ধনে গুড়া – ১ চামচ
কাঁচা মরিচ – ৬/৭ টা
(আমরা পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ গাইন্ড করে নিয়েছি)
তেজপাতা – ৩/৪ টা (আগে ব্যবহার হয়েছে)
এলাচ – ৪/৫ টা
দারুচিনি – ৪/৫ টুকরা
তেঁতুল – আধা কাপ
লবণ – পরিমান মত (শেষ বারে লবণ দিতে মনে রাখবেন, প্রথমে একবার দেয়া হয়েছিল)
পেঁয়াজ কুচি – বেরেস্তার জন্য
তেল – কয়েক চামচ, বেরেস্তার জন্য।
নেহারিতে মশলা কম দেয়া হয় যাতে করে ঝোল পাতলা হয় অনেকটা স্যুপের মত করার জন্য এবং তেতুলের ব্যবহার করা হয় যাতে করে ঝোল পানির মত হয়।
পায়া ভাল করে সিদ্ব (ঘণ্টা দুয়েক লাগবেই) হলে সব মশলা দিয়ে দিন। এলাচ, দারুচিনি ও তেঁতুল সহ।আরো কিছু পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে আবার জ্বাল দিতে থাকুন।পানি কমে গেলে আবার পানি দিতে হবে। যতক্ষন না সব কিছু আপনার মনের মত হচ্ছে। লবণ দেখুন, লাগলে দিন।অন্য একটা কড়াইতে তেল ঢেলে পেঁয়াজ কুচি ভাজে নিন। বেরেস্তা বানান।পায়ায় বেরেস্তা দিয়ে দিন (বাগার মারুন) এবং আরো কিছু ক্ষন জ্বাল দিন।