পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতত্রভাবে। একের পর এক ফুটপাত দখল করে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবী জানিয়েছেন পৌরবাসী।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি গঠিত পাইকগাছা পৌর সদরের হাট বাজারের রাস্তার উপর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যত্রতত্রভাবে দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পৌর সদরের হাট বাজারের ভিতর দিয়ে ৮-১০টি চলাচলের রাস্তা রয়েছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতারা উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। কিন্তু ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর ফলে বিড়ম্বনার শিকারে পরিণত হচ্ছে ক্রেতা সাধারণ।
অনেকে স্ব-পরিবারে বাজারে আসলেও ফুটপাত দখলের কারণে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে না। আবার মাল বোঝাই ভ্যানগাড়ী বাজার পর্যন্ত পৌছাতে পারে না। পৌর সদরের ত্রিমোহনী হতে নদী পর্যন্ত জন চলাচলের প্রধান উপায় হলেও উক্ত রাস্তার দু’পাশে দখল করে রেখেছে কমপক্ষে ২০-৩০টি ছোট ছোট দোকান। জানা যায়, বড় দোকানদাররা এদের নিকট থেকে মাসিক ও বাৎসরিক ভাড়া আদায় পূর্বক তাদের দোকানের সামনে ফুটপাতে বসিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের পাশের ঘর মালিককে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকতে হয়। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, আমরা যে মালিকের ঘরের সামনে আছি সে মালিককে মাসিক চুক্তিতে টাকা দিয়ে ব্যবসা করছি। ‘ফুটপাত সরকারের, ভাড়া আদায় করছে দোকানদার।’ বিষয়টি অবাস্তব হলেও সত্য। করিম নামের জনৈক ক্রেতা বলেন, ফুটপাত দখলের কারণে বাজার করতে আসা অত্যন্ত কষ্টকর ব্যাপার। বাজারের মাছ মার্কেট, মুরগী মার্কেট, স্বর্ণপট্টি, কাঁচা বাজার সহ সকল মার্কেটের রাস্তাগুলি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শতশত ক্ষুদ্র দোকান। ইতিপূর্বে কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করলেও পরবর্তীতে আবার বেদখল হয়ে যায়। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, প্রশাসনের সহযোগিতায় ইতিপূর্বে উচ্ছেদ করেছি। আবারো অচিরেই উচ্ছেদ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, বিষয়টি পৌরসভার। মেয়র মহোদয় আইনের সহায়তা চাইলে আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করব।