প্রতিদিনই ঝটপট তৈরি হয়ে বাইরে যেতে বেছে নেয়া হয় আরামদায়ক পোশাক। আজকাল কলেজ, ভার্সিটি বা চাকরিজীবী মেয়েরা তাদের চলাফেরার সুবিধার জন্য বেছে নেন থ্রিপিস বা প্যান্ট ফতুয়া। আয়োজন করে শাড়ি পরাটা প্রায় হয়েই ওঠে না। কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে যদিও শাড়ি পরা হয় তবু তা যেন অগোছালো। বেশিরভাগ সময় শাড়ি পরার ধরনে লুকিয়ে যায় আপনার আসল সৌন্দর্য। তাই ভাবছেন শাড়িতে আপনি বড়ই বেমানান। অথচ শাড়িতে আপনাকে স্লিম নাকি মোটা লাগবে তা সম্পূর্ণই নির্ভর করবে পরার কৌশলের ওপর। উপযুক্ত কৌশল অবলম্বন করতে পারলে শাড়ির সৌন্দর্য ছাপিয়ে আপনার সৌন্দর্যই বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। জেনে নেয়া যাক, আপনার গড়নে আকর্ষণ লুক সৃষ্টি করতে কেমন শাড়ি হওয়া চাই?
শাড়ির পাড়
যাদের উচ্চতা কম, তাদের মোটা পাড়ের শাড়ি এড়িয়ে চলা উচিৎ। একটু মোটাসোটা বা খাটো নারীদের চিকন পাড় বা পাড়বিহীন শাড়ি পরাই ভালো হবে। পাড়বিহীন শাড়িতে বেশি খাটো বা মোটা লাগবে না।
শাড়ির প্রিন্ট
হালকা এবং ছোট ছোট নকশা প্রিন্ট করা শাড়ি নির্বাচন করুন। যারা বেশি স্লিম তারা বড় মাপের প্রিন্ট পরলে বেশ স্বাস্থ্যবতী মনে হবে। আর যারা একটু মোটা তারা অবশ্যই বিপরীত দিক চিন্তা করবেন। শাড়ির ছোট প্রিন্টই তাদের জন্য উপযুক্ত হবে।
ব্লাউজের হাতা
বর্তমানে হাতাবিহীন ব্লাউজের চলটা বেশ দেখা যায়। তবে হাতা থাকলেও চলনসেই স্টাইলটায় অনুসরণ করতে পারেন। যারা একটু স্থুলকায় তারা অবশ্যই বড় হাতার ব্লাউজ বেছে নেবেন। কিন্তু স্লিম ফিগারে ছোট হাতা বেশ মানিয়ে যায়।
পরার ধরন
একটু আঁটোসাঁটো করে কাপড়ের পিন দিয়ে শাড়িটি দেহে জড়িয়ে নিন। আপনাকে অনেক স্লিম দেখাবে। আপনার উচ্চতাও বেশি মনে হবে। পরনে যত বেশি এলোমেলো ভাঁজ থাকবে, আপনাকে তত বেশি মোটা দেখাবে। তাই ভাঁজ কমিয়ে জড়িয়ে নিন।