এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

নতুন ভ্যাট আইনে পণ্য মূল্য বাড়বে না

01 June 2017 10:06:28 AM 20207856 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
নতুন ভ্যাট আইনে পণ্য মূল্য বাড়বে না

মূল্য সংযোজন কর আইন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়বে না বলে জানিয়েছে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। ভ্যাট কর্তৃপক্ষ নতুন ভ্যাট আইনের সুবিধাসমূহ কি-এর ব্যাখায় এসব তথ্য জানিয়েছে। ভ্যাট কর্তৃপক্ষ বলছে,এই নতুন আইনের প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে বেশ কিছু সুবিধার দিক উঠে আসে। প্রথমত করদাতারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিবন্ধন,রিটার্ন দাখিল,পেমেন্ট ও রিফান্ড দাবি করতে পারবেন। এজন্য তাদের কোন প্রকার হয়রানিরও স্বীকার হওয়ার সুযোগ নেই। শুনানির ক্ষেত্র ব্যতীত কোন কারণইে করদাতাকে ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। ইতিমধ্যেই প্রায় বিশ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন করেছে। এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘দেশের সুনাগরিকরা যেন কোন ঝামেলা ছাড়াই ভ্যাট প্রদান করতে পারেন এই জন্যই এই নতুন আইনে নানাবিধ সুবিধার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’

ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছে,যে ব্যাপারটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি হচ্ছে-তা হলো রেয়াত কেমন করে গ্রহন করবে ব্যবসায়ীরা। ব্যাপারটি বোঝা খুবই সহজ। ক্রয় এবং বিক্রয়ের চালান পত্র সবগুলো সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করলে সহজেই রেয়াত গ্রহণ করা সম্ভব। আর এই পুরো ব্যাপারটিই পরিচালনা করা সম্ভব অনলাইনে,ঘরে বসে। নতুন আইনে ভোক্তার ওপর করের চাপ তুলনামূলকভাবে অনেক কমে যাবে। বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে আগাম বাণিজ্যিক করসহ ভ্যাটের নিট হার প্রায় ২১%। আমদানিকারকগণ ২১% ভ্যাট দিয়ে আমদানি করেন কিন্তু রেয়াত নেন না। আবার ৪% দিয়ে তা বিক্রি করেন। ফলে নিট ভ্যাট হয় প্রায় ২৬% এর বেশি। রেয়াত না নেয়ায় করের ওপর কর হয় এবং সে কারণে খুচরা মূল্য বেশি পড়ে। ভোক্তা চালানে ৪% দেখলেও পূর্বের ২১% মূল্যেও মধ্যে থেকে যায় যা ভোক্তা দেখতে পান না কিন্তু পরিশোধ করেন। বর্তমানে রেয়াত গ্রহণ করায় মোট মূসকের ভার হবে ১৫%। করের ওপর কর হবে না।

বর্তমান ব্যবস্থায় বিক্রেতাগণ ভোক্তার নিকট হতে ভ্যাট ঠিকই আদায় করেন। কিন্তু সংকুচিত মূল্যের কারণে রেয়াত প্রযোজ্য না হওয়ায় চালানের গুরুত্ব থাকে না। এতে ভ্যাট অফিস বিক্রেতার হিসাব ঠিক মতো চিহ্নিত করতে পারে না। বিক্রেতা তার নিজের মতো হিসাব দিতে পারেন। সব বিক্রি হতে ভ্যাট আদায় করলেও তারা তার সব অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেন না। চালানের ব্যবহার না থাকায় তাদের চিহ্নিত করা যায় না। এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা ভ্যাট দিলেও তা সরকারের কোষাগারে আসে না। নতুন আইনে রেয়াত নিতে হবে বিধায় চালান সংরক্ষণ করতে হবে। ভোক্তার দেয়া সব কর সরকারি কোষাগারে আসবে। ফলে ভোক্তার ওপর করের চাপ বাড়বে না বরং কমবে। নতুন আইনের কার্যপরিধি অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটিই নিবন্ধন প্রযোজ্য ও যথেষ্ট। প্রতিষ্ঠানের আকার বা প্রকার যাই হোক না কেন, প্রতিষ্ঠানের বিক্রির পরিমান বাৎসরিক ১০০০ কোটি টাকাই হোক কিংবা ৫০ লাখ টাকাই হোক না কেন, একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজন একটি ভ্যাট নিবন্ধান।ওই একটি নিবন্ধানের আওতায় থাকবে সকল ক্রয় বিক্রয়ের হিসাব নথি। এর ফলে ব্যবসায়ের প্রতিটি ধাপে কমছে জটিলতার অবকাশ।

নতুন আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণভাবে করের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংজ্ঞাও ব্যাপকভাবে প্রসারিত করা হয়েছে। নতুন অনলাইন ভ্যাটের আওতায় যাদের ব্যবসার বার্ষিক বিক্রি ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের নিবন্ধন নিতে হবে না এবং কোনো নামেই কোনো ধরণের ভ্যাট দিতে হবে না। আর নতুন আইনে সরকারকে এর ব্যতিক্রম করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাইলেও আইন পরিবর্তন না করে শুধু প্রজ্ঞাপন দিয়ে কারো জন্যই এ সুযোগ প্রত্যাহার করতে পারবে না। ফলে নতুন আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ অনেক বেশি সুরক্ষিত হয়েছে। অপরদিকে, মাঝারি প্রতিষ্ঠান হলো তারা যাদের বার্ষিক মোট করযোগ্য বিক্রি অনুচ্চ ৮০ লাখ টাকা। তারা তালিকাভুক্ত হয়ে মাত্র ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর প্রদান করবেন। জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক মূল্যবোধের বিষয় বিবেচনায় শুধু সিগারেট এবং মদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। এ দু’টি খাত ছাড়া অন্য যেকোনো মাঝারি ব্যবসায়ী এ সুযোগ পাবেন। তাদের এ সুবিধার ব্যতিক্রম করার ক্ষমতাও আইনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দেয়া হয়নি।

এসব ছাড়াও ভ্যাট প্রদানকারীরা নানাবিধ সুযোগ সুবিধা পাবেন। একটি প্রতিষ্ঠানের মাত্র একটি নিবন্ধনই প্রয়োজন। করদাতাদের আগাম কর পরিশোধ করার কোন প্রয়োজন নেই এবং সর্বোচ্চ ৪৫ দিন করের টাকা নিজের কাছে রাখতে পারবেন। যেন হিসাব রাখতে কোন রকম ঝামেলা না হয় এজন্য রাজস্ব বোর্ড সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় ইসিআর যন্ত্র সরবরাহও করতে যাচ্ছে। আর সর্বসময়ের জিজ্ঞাসা এবং সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কল সেন্টার তো থাকছেই।

- বাসস

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ