![ঢাকার ডাবের পানি পান থেকে সাবধান!](images/introimg/dab-dhaka.jpg)
ঢাকার ডাবের পানি পান থেকে সাবধান! যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঢাকার ডাবের পানি পান করলে ডেকে আনতে পারে মহাবিপদ। রাজধানীর সংঘবদ্ধ একটি চক্র ডাব বিক্রেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে ডাবের পানিতে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। ক্রেতারা ডাব কিনে পানি পান করার কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে ওঁৎপেতে থাকা চক্রটি ওই লোক অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তার সর্বস্ব লুটে নেয়।
কেউ জানতে চাইলে চক্রটি বলে, অচেতন হওয়া লোকটি তাদের আত্মীয়। তখন লোকজন তার আশপাশে ভিড় করে না। জানা গেছে, চক্রটি রাজধানীর কিছু কিছু এলাকা টার্গেট করে। তবে ব্যস্ততম এলাকাকে তারা বেছে নেয়, যাতে কেউ কারো খবর না রাখে। চক্রটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে ডাবে নেশাজাতীয় ওষুধ পুশ করে।
পরে ওই ছিদ্রস্থান আঠাজাতীয় বা সুপারব্লু দিয়ে বন্ধ করে দেয়, তাতে বুঝার কোনো উপায় থাকে না। চক্রটির টার্গেট করা ডাবের পানি খেলেই মহাবিপদ। এমন বিপদে পড়ে গত ৮ অক্টোবর মারা যান গাজীপুরের সেলিম। রাজধানীর মহাখালীতে ডাবের পানি পান করেছিলেন আব্দুস সেলিম (৪০)। ওইদিন রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
এবার ডাব কিনে খেয়ে প্রাণ গেল ৫৫ বছর বয়সী হাজী মহসিন আলীর। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশ। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মহসিন আলীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়। মহসিন আলী মেরুল বাড্ডার বিআইপি প্রজেক্ট এলাকার ১১নং রোডের ৬৯/৭১নং বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বওড়া গ্রামে। মহসিন আলীর পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে হাজী মহসিন মিরপুর থেকে অলীক পরিবহনযোগে মেরুল বাড্ডায় আসছিলেন।