আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতি দিলেন ভোটে পরাজিত ইউপি সদস্য

রাতে অন্ধকারে পথচারীদের চলাচলে কোন প্রকার সমস্যার মুখো-মুখি হতে না হয় ও রাস্তা নিরাপদ রাখতে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় নিজ অর্থায়নে রাস্তায় অবস্থিত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বৈদ্যুতিক বাতি লাগালেন গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে ভোটে পরাজিত প্রার্থী শহিনুর ইসলাম শাহিন(৩০)।
রবিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের রাস্তায় অবস্থিত ৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে প্রত্যেকটিতে একটি করে বৈদ্যুতিক বাতি লাগান তিনি। পর্যায় ক্রমে গোটা ওয়ার্ডেই এই বাতির ব্যবস্থা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শাহিনুর ইসলাম উপজেলার ওই ইউনিয়নের দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র। গত ইউপি নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে ভোটে দিতীয় হন।
তার এমন কাজে এলাকাবাসী খুবই খুশি হয়েছেন। তাকে একাজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদানসহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এতে স্বার্বিক ভাবে সহযোগীতা করেন ওই ৬ নং ওয়ার্ডের যুবক রোহানুজ্জামান(২৫)।
এমন উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহিনুর ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের যাতায়াতের জন্য অধিকাংশ রাস্তা গুলোতে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর না হওয়া অবদি অন্ধকার থাকে। এতে চলাচলে পথচারীদের নানা রকম সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। আমরা সেটা কেউ আমলে নেই না, নানা ভাবে এড়িয়ে যাই। নিজে থেকে কেউ কোন প্রকার উদ্যোগ নেই না। সাধারন মানুষেরাই ইচ্ছে করলে সমাজের ছোট ছোট সমস্যা গুলো দুর করতে পারে।
তিনি আরো জানান, আমি পর্যায় ক্রমে গোটা ওয়ার্ডের যে সব রাস্তা অন্ধাকার থাকে এবং বৈদ্যুতিক খুটি রয়েছে সে গুলোতেও এই বাতির ব্যবস্থা করবো। এই জন্য সকলকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে এগিয়ে এসে তার পাশে থেকে তার এমন কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রোহানুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গ্রামের এই সব রাস্তায় একটু রাত হলেই চলাচল করতে ভয় হয়। শাহিন ভাইয়ের কাছ থেকে এই মহত উদ্যোগের কথা জানতে পেরে আমি খুবই খুশি হই। ওনাকে সহযোগিতা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি এবং পরে তার সাথে কাজ করি। এমন জন কল্যাণমূলক কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি শাহিনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রায় রাতে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে অনেক রাত করি। অন্ধকারে এই রাস্তায় একা চলাচলে অনেক সময় ভয় লাগে। না জানি কি বিপদ ঘটে? এমনই আশঙ্কা কাজ করে মনে। কিন্তু এখন সেটাও কেটে গেল। শাহিনের এমন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন তিনি।
এদিকে একই কথা বলেন ওই এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলী, রশীদুল, বাচ্চু মিয়া। তারা সবাই শাহিনুরের এমন কাজে খুবই খুশি হয়েছেন। তারা এখন অন্ধকারে নয় আলো জ্বালানো রাস্তা দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরবেন।