অবশেষে কুষ্টিয়া ভেড়ামারার পতিতাদের সর্দার পলাতক সালেহা বেগম ওরফে ছায়ারানী গ্রেফতার হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমা মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক ‘ছায়ারানী’র পতিতালয়, যুব সমাজ ধ্বংস এবং ছায়ারানী’র পতিতালয় উচ্ছেদের দাবী এলাকাবাসীর’ এই মর্মে আমাদের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এস.এম.আবু ওবাইদা-আল-মাহাদী’র ধারাবাহিক ৩ পর্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে কুষ্টিয়া’র জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন এর নির্দেশে, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমার নেতৃত্বে গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় ভেড়ামারা থানার এস.আই জাফর ও সংগীয় ফোর্স এর সহযোগিতায় ছায়া রানীর পতিতালয়ে রেইড করা হয়। এই সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) মোঃ শিহাব রায়হান ও সাংবাদিক এস.এম.আবু ওবাইদা-আল-মাহাদী সহ প্রমুখ। উক্ত সময়ে পতিতালয়ে অবৈধ কোন পুরুষ বা মহিলা কাউকেই পাওয়া যায় নি। সবাই পলাতক ছিল।
সেই সময়ে উপস্থিত জনগণকে উদ্দেশ্য করে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমা গ্রামের সকল জনগণকে ছায়ারানীর পতিতালয়ের উপর সর্তক দৃষ্টি ও যে কোন সময় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামবাসী ছায়ারানী সহ পতিতা শাপলাকে প্রতিবেশী হাসান ইমামের বাড়ীতে দুই ঘন্টা আটকে রাখার পর ভেড়ামারা থানার হাতে তুলে দেয়।
ভেড়ামারা মডেল থানার ওসি মোঃ তাজুল ইসলাম ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আজ সকালে ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামবাসী ছায়ারানী সহ শাপলা নামের এক মেয়েকে গ্রামবাসী পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ভেড়ামারা মডেল থানার এ.এস.আই আশরাফ এর নেতৃত্বে সংঙ্গীয় ফোর্স ছায়ারানী ও শাপলাকে গ্রেফতার করে ভেড়ামারা থানাতে নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানাতে ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রাম বাসীর লিখিত অভিযোগ আছে।
এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত পতিতাদের সর্দার ছায়ারানী ও পতিতা শাপলা ভেড়ামারা থানা হাজতে আছে।
উল্লেক্ষ্য যে, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় বিশ্বাস পাড়ায় মোছাঃ সাহেলা খাতুন ওরফে ছায়া রানী’র তত্বাবধানে গড়ে ওঠেছে এলাকার বৃহৎ পতিতালয়। ছায়া রানী’র তত্বাবধানে গড়ে তোলা এই পতিতালয়টি উচ্ছেদের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ৬০০ জনের সাক্ষরিত এলাকার একটি গণপিটিশন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেল ও ভেড়ামারা থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরেলিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকাবাসীর গনপিটিশনের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিড়দিয়াড় বিশ্বাস পাড়া এলাকার মনিরুল ইসলাম মনা’র স্ত্রী সালেহা খাতুন ওরফে ছায়া রানী’র অসামাজিক এবং অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িত। সে তার বাড়ীটাকে প্রায় ২০-২৫ বছর যাবৎ পতিতালয়ে পরিনত করেছে। সে নিজে সহ পেশাদারী পতিতাদের বাড়ীতে রেখে বহিরাগত পুরুষের আগমন ঘটিয়ে অবৈধ পন্থায় অর্থ উর্পাজন করে আসছে। এছাড়াও সে এলাকাটিকে মাদক ব্যবসা এবং অপহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকালাপের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করেছে। এলাকাবাসী একাধিকবার প্রতিহত করার চেষ্টা করেও তার অপকর্মের কাছে এলাকাবাসী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ছায়া রানী’র তত্বাবধানে গড়ে তোলা এই পতিতালয়টি উচ্ছেদের ও ছায়ারানীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সুপারিশ করেছেন, অত্র এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক সহ এলাকার সূধীজন।
সূত্রঃ সময়ের কণ্ঠস্বর