১৮৯৬ সালে অলিম্পিকের আধুনিক সংস্করণের পর থেকে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে এতে। প্রতিবছরই কিছু না কিছু যোগ হয়, বা বাদ যায়। রিও অলিম্পিকে এমন পাঁচটি খেলা থাকছে না, যা এককালে ছিল।
কবুতরকে গুলি
১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো কবুতরকে গুলি করার আয়োজন শুরু হয়েছিল। সেবার ৩০০ কবুতর মারা যায়। ছ টি পাখি উড়িয়ে দেয়া হতো, যার মধ্যে প্রতিযোগীদের কেউ যদি অন্তত দু টো পাখি গুলি করতে না পারতো, সে বাদ হয়ে যেত। ফলাফল প্রচুর রক্ত আর পাখির মৃতদেহ। অথচ সে বছরের অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনে এই আয়োজনকে আভিজাত্যের প্রতীক বলা হয়েছিল! ২১টি পাখি গুলি করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বেলজিয়ামের লিয়ন ডি লুন্ডেন। এরপরে অবশ্য এই আয়োজন আর হয়নি।
পিস্তলের লড়াই
১৯১২ সালের স্টকহোম গেমসে এর আয়োজন হয়েছিল। প্রচুর গোলাগুলি হলেও রক্তপাত হয়নি। ৩০ মিটার দূর থেকে মানুষের আকারের একটি মূর্তির গলা লক্ষ্য করে গুলি করতে হতো প্রতিযোগীদের। ২০ বছর বয়সি অ্যামেরিকার আল লেন এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন। তবে পিস্তলের অন্যান্য ইভেন্টের কারণে পরবর্তীতে এটি বাতিল হয়ে যায়।
ক্লাব সুইংগিং
এটা এক ধরনের রিদমিক জিমন্যাস্টিক, যা ১৯০৪ সালে সেন্ট লুইস এবং ১৯৩২ সালে লস এঞ্জেলেসে আয়োজন হয়েছিল। ১৯৩২ সালে এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ রথ। কিন্তু তার পর থেকে এই আয়োজন আর হয়নি।
টাগ অফ ওয়ার
স্কুল ক্রীড়াঙ্গনে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ১৯০০ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত অলিম্পিকের পাঁচটি আয়োজনে এই খেলাটি ছিল। ১৯০৮ সালে এতে স্বর্ণ জিতেছিলেন ব্রিটিশ পুলিশ সদস্যদের একটি দল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দলটির দাবি ছিল যে ব্রিটেন নাকি কারচুপি করে জিতেছে। একটি প্রতিবেদনে লেখাও হয়েছিল যে, ব্রিটিশ পুলিশ দল এমন এক ধরনের জুতা পড়েছিল, যাতে লাফাতে সুবিধা হয়।
ক্রিকেট
অনেক প্রতীক্ষার পর রিও অলিম্পিকে গল্ফ আর রাগবি ফিরে এলেও ক্রিকেট ফিরে আসার কোনো লক্ষণ নেই, যা কেবল ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে খেলা হয়েছিল। বেলজিয়াম ও হল্যান্ড শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল ব্রিটেন আর ফ্রান্সের মধ্যে। যথারীতি ব্রিটেন জিতেছিল সে বছর।