আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

স্বল্পমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি – পিল খাবার নিয়ম, সুবিধা-অসুবিধা

ব্যস্ততা এবং সচেতনতা দুটিই এখন বেড়ে যাবার ফলে দুটি বাচ্চার মাঝখানে সব দম্পতিই একটু গ্যাপ রাখতে চান। এসময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কেউই দীর্ঘমেয়াদি পদ্দতি নিতে চান না। বরং সহজেই শুরু এবং বন্ধ করা যায় এমন পদ্ধতিই খুঁজে নিতে চান। আজ আপনাদের জানাব জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিয়ে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে যে কোনও দিন পিল খাওয়া শুরু করা যেতে পারে। প্রতিদিন রাত্রে খাবার খাওয়ার পর নির্দিষ্ট পিলটি খেতে হবে। পর পর ২১ দিন খেতে হবে। তারপর এক সপ্তাহ বন্ধ রেখে আবার নতুন প্যাকেট শুরু করতে হবে। 

কোন একদিন ভুলে গেলে পরদিন দুটো পিল খেতে হবে। বর্তমানে বাজারে ২১ প্লাস ৭ ও ২৪ প্লাস ৪টি পিলেরও প্যাকেট পাওয়া যায়৷ এর সুবিধা হচ্ছে মনে রাখার বা ভুলে যাওয়ার কোন ব্যাপর থাকে না।

২৮ দিন পর পর নতুন প্যাকেট শুরু করলেই হল৷  বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক নারীদের ক্ষেত্রে ৩-৪ মাস আগে থেকে পিল খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ধরনের পিল খাওয়া উচিত তা ঠিক করে নেয়া ভালো। তাহলে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যায়।

কাদের জন্য পিল প্রযোজ্য নয়:

পিল খেতে ভুলে গেলে যা করবেন:

পিল  খাওয়ার সুবিধা:

জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পিলের নানা সুবিধা রয়েছে। যেমন­:

 

পিল খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

 

বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য ওরাল পিলের উপযোগিতা

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের ওরাল পিল খাওয়া উচিত নয়, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা ৷ অনেকে ভাবেন ব্রেস্ট ফিডিং করালে আর আলাদা কন্ট্রাসেপশনের প্রয়োজন নেই৷ এ ধারণাও সম্পূর্ণ ঠিক নয়৷ শিশুকে পুরোপুরি বুকের দুধের উপর রাখলে, অর্থাৎ, বাচ্চাকে জল, মধু, রাত্রে এক-আধবার বোতলের দুধ খাওয়ানো, এ সব কিছু না করলে ৩-৪ মাস গর্ভসঞ্চার হওয়ার চান্স কম থাকে। তবে এটি পুরোপুরি প্রমানিত নয়। পিরিয়ড বন্ধ থাকলেও অনেক সময় গর্ভসঞ্চার হতে পারে৷ আর মাঝে মধ্যে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ালে বাচ্চা এসে যেতে পারে ৷ সুতরাং তাদের জন্য প্রোজেস্টেরন হরমোনযুক্ত মিনি পিল ব্যবহারেই শ্রেয়। এতে বুকের দুধের পরিমাণ ও তার গুণগতমানের কোন পরিবর্তন হবে না।

পিল খাওয়ার পূর্বে / পরে যে উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত

 

পিল খাওয়ার পরেও যে সব কারনে গর্ভধারণ হতে পারে

১. নিয়মমতো পিল না খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থেকে যায়। ।
২. প্রতিদিন সঠিক সময়ে পিল না খেলে পিলের কার্যক্ষমতা কমে যায় ।

৩. কিছু বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য  পিল কাজ করে না। যেমন- টিউবারকুলোসিসের জন্য রিফাডিন চিকিৎসা, গ্রিসেওফালভিনের জন্য অ্যান্টি-ফানগাল ড্রাগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে পিল কার্যকারিতা হ্রাস পায়।  

৪. কোনো হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধক পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে।

 

পিল খাওয়ার পূর্বে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত

প্রথম সন্তান নেয়ার আগে পিল না খাওয়াই ভালো। তাতে পরবর্তীতে সন্তান ধারণে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। একটি সন্তানের পর দীর্ঘদিন পিল খেলে পরবর্তীতেও সন্তান ধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ওজন বেড়ে যাওয়া সহ নানা রকম শারীরিক সমস্যার উপসর্গ দেখা দিতে পারে পিল সেবনে।