পুলিশ অফিসার রণজয় আর ডাক্তারি পাঠরতা ইমনের বিবাহিত জীবন এই ধারাবাহিকের মূল কাহিনি। মৃত্যুপথাযাত্রী ইমনের বাবার অনুরোধ ফেলতে না পেরে রণ ইমনকে বিয়ে করে। অথচ এর আগেই রাজস্থান ট্যুরে গিয়ে রণর প্রাথমিক প্রেমপর্ব শুরু হয়েছিল বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরতা রূপকথার সঙ্গে। সেই সম্পর্ক পাকতে না পাকতেই ইমনের সঙ্গে বিয়ে। অথচ রণ বা ইমন কেউই মন থেকে এই সম্পর্কে জড়ায় না। কিংবা জড়ালেও দর্শকের বোধের অগম্য। ঝাড়া আধঘণ্টা ধরে এই ধারাবাহিক শুরুর সময় থেকেই রূপকথা-রণজয়-ইমন-এর ট্রায়াঙ্গেল লাভস্টোরির ঝগড়া, কথাকাটাকাটি তুমুল পর্যায়ের। ভাবতে আশ্চর্য লাগে কাহিনির এক বছর এবং ধারাবাহিক শুরুর পর এত মাস পেরিয়েও গল্পের গরু এক গাছেই চড়ে রয়েছে। বাড়ির লোকেরা গোটা দৃশ্যেই ড্রয়িংরুমে দাঁড়িয়ে ঝগড়ায় অংশগ্রহণ করেন। রণর বড়দা বাদশার সঙ্গে বিয়ে হয়েও রূপকথা যেভাবে রণ-ইমনের জীবনে নিজের উপস্থিত জাহির করে— সেটা সত্যি আশ্চর্য। তবে সমাজে এমন ছায়া অনেক আছে।
ঠিকই, কিন্তু ধারাবাহিকের কাহিনির প্রতিনিয়ত ভোলবদলে এটি বেশ আশ্চর্য বইকি! দর্শকদের অসীম ধৈর্য ধরতে হবে আধঘণ্টা বসে এই ধারাবাহিক দেখার জন্য। সত্যি বলতে কী, কোনও গল্পের মাথামুণ্ডু সেই, শুধুই রণ-ইমনের ইগো, ঝগড়া, আর রূপকথাকেন্দ্রিক কূটকচালি দিয়েই চলছে ‘কুসুমদোলা’। নামীদামি অভিনেতা থাকলেও তাঁদের অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই কারণ গল্পের দম না থাকায় এটি গতিহারা ধারাবাহিক। তা না হলে কখনও রণর সিনিয়র অফিসার ইমনের অনুরোধ শুনেই আটকে দেন রণর ট্রান্সফার! এও কি সম্ভব? পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারের স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। সরকারি চাকরিতে যখন খুশি, যেখানে ইচ্ছে খুশিমতো বদলি নেওয়া যে সম্ভব, তাও জানা ছিল না? গল্পের এক এই অবস্থা, চিত্রনাট্যও তাই। এক ডায়ালগ, একই বিষয়, এই তর্ক-বিতর্ক— আর ক’দিন?
সংকলন - বর্তমান পত্রিকা