দ্বৈত চরিত্র এর আগেও টেলিভিশনে দেখেছেন দর্শক, কিন্তু এই ধারাবাহিকে এই দু’টি চরিত্রকে ঠিক কীভাবে দর্শকের চোখে আলাদা করে তোলা হচ্ছে, সেটা জানালেন অভিনেত্রী।
গত ২৩ অক্টোবর থেকে জি বাংলা-য় রাত সাড়ে আটটার স্লটে শুরু হয়েছে ‘সীমারেখা’। এই ধারাবাহিকে দ্বৈত চরিত্রে রয়েছেন বাংলার সেরা অভিনেত্রীদের অন্যতম ইন্দ্রাণী হালদার। দ্বৈত চরিত্র টেলিভিশনে এর আগেও বহুবার দেখেছেন দর্শক, নতুন কিছু নয়। কিন্তু ‘সীমারেখা’-তে ‘সীমা’ ও ‘রেখা’— এই দুই বোনের চরিত্র দু’টির উপস্থাপনা দর্শকের কাছে যাতে একেবারেই আলাদা হয়, তার জন্য বিশেষ মনোযোগী অভিনেত্রী-সহ সমগ্র ইউনিট।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্দ্রাণী জানালেন যে হেয়ারস্টাইল, ওয়ার্ডরোব এবং গয়না তো বটেই, এমনকী দুই বোনের নেলপালিশের রংও আলাদা। তাঁর ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট ও হেয়ারস্টাইলিস্টের সাহায্যে এতটাই ডিটেলে তিনি আলাদা করেছেন দু’টি চরিত্রকে। এর সঙ্গে যাঁর সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে তিনি হলেন এই ধারাবাহিকের ডিওপি বা ডিরেক্টর অফ ফোটোগ্রাফি অভিষেক চক্রবর্তী।
‘সীমা’ ও ‘রেখা’ দুই ভিন্ন মেরুর মানুষ। দর্শকের কাছে এই বৈপরীত্য যাতে আরও ভাল করে পৌঁছয় তাই অভিষেক সম্পূর্ণ ভিন্ন ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ও লাইটিং ব্যবহার করছেন এই দু’টি চরিত্রের জন্য। ক্যামেরা সম্পর্কে যাঁদের সামান্যতম জ্ঞান রয়েছে তাঁরা জানেন যে এই দু’টি প্রধান অস্ত্র ব্যবহার করে কতটা পাল্টে দেওয়া যায় একজন মানুষের লুক। অভিষেক এই কঠিন কাজটিই করছেন প্রতিদিন।
আর সবার উপরে ইন্দ্রাণী হালদারের অসামান্য অভিনয়ক্ষমতা তো রয়েছেই। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি রাজত্ব করছেন বাংলা টেলিভিশনে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি এসেছে, ধারাবাহিকের কনটেন্ট পাল্টেছে, গঠন-আঙ্গিক পাল্টেছে। প্রত্যেকটি পর্যায়েই তিনি তাঁর উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। তাই ‘গোয়েন্দা গিন্নি’-র মতোই এই ধারাবাহিকও যে খুব তাড়াতাড়ি বাংলা টেলিভিশনের সেরার শিরোপা পেতে চলেছে সেই নিয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই।
খবর - এবেলা