চুলপড়া সমস্যার চিকিত্সা করতে করতে এখন আমরা যারা চুলপড়া সমস্যার চিকিত্সা করি তাদের অনেককেই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন: কি শ্যাম্পু করবো, কখন শ্যাম্পু করবো, সপ্তাহে কতদিন শ্যাম্পু করা ভালো এবং বারবার শ্যাম্পু করলে কি কোন ক্ষতি হয় কিনা, কোন কোম্পানীর শ্যাম্পু ভালো এবং সর্বোপরি কয়েক দিন পর পর শ্যাম্পু পরিবর্তন করা উচিত কিনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রশ্নের কোন যুক্তি সঙ্গত বা বিজ্ঞান সম্মত জবাব নেই। তবে সিঙ্গাপুরের বিশিষ্ট ট্রাইকোলজিষ্ট ডা: আইলিন তানের মতে বারবার শ্যাম্পু করা ও শ্যাম্পু পরিবর্তনের সঙ্গে চুলপড়ার বা না পড়ার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যে কোন ভালো ব্রান্ডের নরমাল শ্যাম্পু প্রয়োজন মত ব্যবহার করা ভালো। তবে নিম্নমানের অধিক কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়।
সবচেয়ে আগে জানতে হবে শ্যাম্পু কেন করা হয় এবং কি ধরণের শ্যাম্পু দরকার। অনেক সময় দেখা যায় স্বাভাবিক চুলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এন্টিডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে যাচ্ছেন অথচ তার মাথায় কোন খুশকি, সেবোরিক ডার্মাটইটিস বা এন্টিডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু করার কোন কারণ নেই। অথচ বছরের পর বছর ধরে খুশকির শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল খসখসে ও অমসৃণ হয়ে গেছে এবং চুলের বহিরাবরণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠিক একই ভাবে যার এন্টি-ডেন্ড্রাফ বা এন্টি ইনফ্লামেটরী শ্যাম্পু দরকার তিনি ব্যবহার করেছেন সাধারণ শ্যাম্পু। ফলে মাথার প্রদাহ, খুশকি বেড়ে মারাত্মকভাবে চুল পড়ছে। তাই চুলের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় শ্যাম্পুটি নির্বাচন করতে হবে। আর বারবার শ্যাম্পু পরিবর্তনেও কোন লাভ হয় না। সবচেয়ে ভালো যে শ্যাম্পুটি চুলের জন্য মানায় বা স্যুট করে সে ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহার করা। তবে যাদের চুল তৈলাক্ত এবং মাথায় প্রচুর ময়লা জমে তাদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী শ্যাম্পু করতে হবে। পাশাপাশি চুল সিলকি, রেশমী, কোমল রাখার জন্য সপ্তাহে ২/৩ বার কন্ডিশনার দেয়া ভালো।
তবে আমি সব সময় বলে আসছি চুলপড়া কোন রোগ নয়। শরীরের যে কোন ইন্টারনাল অথবা এক্সটারনাল কারণের জন্য চুল পড়তে পারে। তাই ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী না হয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নেয়া উচিত। প্রয়োজনে সপ্তাহে একদিন তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তেল ব্যবহার করার পর শ্যাম্পু দিয়ে হালকা ভাবে চুল ওয়াশ করা ভালো। আর একটি কথা মনে রাখা দরকার কেমিক্যাল মিশ্রিত হেয়ার অয়েল, হেয়ার প্রডাক্ট পরিহার করা উচিত