আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

শরীরের ফাটা দাগ দূর করার সহজ ২টি পদ্ধতি

সাধারণত কোমর, ঘাড়ের ভাঁজে, পেটে, পায়ের ভাঁজের ত্বকে ফাটা ফাটা বা কুচকে যাওয়ার মত দাগ পড়ে, যাকে আমরা স্ট্রেচ মার্ক হিসেবে চিনি। সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশে এই দাগ পড়ে থাকে। তবে অনেকের শরীরের বাহ্যিক দিকে স্ট্রেচ মার্ক থাকে যা দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু,তেমনি অনেক সময় অনেক অপ্রীতিকর প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়। হুট করে অনেকটা ওজন বেড়ে যাওয়াই এমন দাগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।

সাধারণত কোন ঔষধ বা প্যাকে স্ট্রেচ মার্কের দাগ গুলো সহজে দূর হয় না। অনেকে লেজার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন এই দাগ দূর করার জন্য। কিন্তু সেটাও অনেক বেশি ব্যয়বহুল। ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই দাগ দূর করার সম্ভব। হ্যাঁ, এতে কিছুটা সময় বেশি লাগলেও নিয়মিত ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী উপকার পাওয়া সম্ভব।

স্ট্রেচ মার্ক সৃষ্টির কারণ

– গর্ভধারণ
– অতিরিক্ত ওজন বাড়ানো
– অতিরিক্ত ওজন কমানো
– হরমোনের অসামঞ্জস্যতা
– বংশগত কারণ ইত্যাদি

আলুর রস মুছে দেবে স্ট্রেচ মার্ক
আলুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল আছে যা কোষ পুনর্বিন্যাস করে থাকে। এক টুকরা আলু কেটে রস বের করে নিন এবার আলুর রস স্ট্রেচ মার্কের স্থানে লাগান। এমনভাবে লাগাবেন যেন স্ট্রেচ মার্ক সম্পূর্ণভাবে আলুর রসে ঢেকে যায়। আলুর রস শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে আলু রস না ব্যবহার করে একটি মাঝারি আকৃতির আলু কেটে স্ট্রেচ মার্ক এর স্থানে ঘষতে পারেন।

চিনিও দারুণ কার্যকরী
স্ট্রেচ মার্ক প্রকৃতিকভাবে দূর করতে চিনি অনেক বেশি কার্যকরী। এক টেবিল চামচ কাঁচা চিনি, বাদাম তেল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি স্ট্রেচ মার্কের স্থানে লাগান। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন কয়েক মিনিট। সপ্তাহে তিন দিন অবশ্যই করুন, পারলে প্রতিদিন করুন। দেখবেন কয়েক মাসের মধ্যে আপনার স্ট্রেচ মার্ক অনেক হালকা হয়ে গেছে।

টিপস
১। স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে পানি পান করা অনেক প্রয়োজন। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
২। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি, ই, জিংক সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন।
৩। ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করুন।
৪। নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি আপনার স্ট্রেচ মার্ক দূর করে দিবে।