আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

জেনে নিন আমার দূর্গার সঙ্ঘমিত্রা সম্পর্কে কিছু কথা

বাংলা শাসন করতে কেমন লাগছে?
সঙ্ঘমিত্রা: খুব ভাল লাগছে।
তুমি কি অভিনয় করতে করতে আগের থেকে একটু বেশি রাগী হয়ে গিয়েছ?
সঙ্ঘমিত্রা: না, রাগী হইনি। যেরকম ছিলাম, সেরকমই আছি। তবে কিছুটা হলেও দুর্গার প্রভাব পড়ছে সঙ্ঘমিত্রার জীবনে, মনে হচ্ছে।

কীরকম প্রভাব?
সঙ্ঘমিত্রা: আমি আগেও বলেছিলাম, সঙ্ঘমিত্রা প্রতিবাদ করতে ভালবাসে। আমার প্রবলেম হচ্ছে, অন্যায় যদি কেউ কিছু বলে, আমি তাকে কিছু বলে ফেলি। আমি হয়তো তাকে কিছু বলতে চাইনি সেভাবে কিন্তু হঠাৎ করেই আমার মুখ থেকে বেরিয়ে যায়। এই বিষয়টা মনে হয় আগের থেকে বেশি হয় এখন।

শপিং করতে গেলে বা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে ‘মব্‌ড’ হয়ে যাও?
সঙ্ঘমিত্রা: সেটা কিছুটা হয়। একটা জিনিস খুব ভাল লাগে। আমি তো আসলে দুর্গা নই, আমি সঙ্ঘমিত্রা, দুর্গা চরিত্রে অভিনয় করছি। কিন্তু গ্রামে হোক, শহরে বা রেস্তোরাঁয়, যে কোনও জায়গায় গেলে সবাই এসে বলে, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা এসে বলেন, ‘‘মা তুমি যেমন করছ, তোমার মতো এরকম হয় না। আমরা তোমাকে দেখে দেখে শিখছি, আমার মেয়েরা তোমাকে দেখে শিখছে।’’ চ্যানেল বা প্রোডিউসার বা রাইটারদের পক্ষ থেকে তো ‘আমার দুর্গা’-র মাধ্যমে কিছু শেখানোর উদ্দেশ্য তো ছিলই, কিন্তু এটা তো একটা গল্প, ধারাবাহিক। তবু মানুষের কাছে এমন ভাবে এটা পৌঁছেছে যে দুর্গাকে এখন আর একটা চরিত্র ভাবছে না মানুষ, এখন মানুষের মনে সঙ্ঘমিত্রা হয়ে গিয়েছে দুর্গা। তারা কিছুতেই ভাবতে রাজি নয় যে আমি অভিনেত্রী, সবাই ভাবে ওই আসল দুর্গা। এটা খুব ভাল লাগে। আমরা যে এতক্ষণ ধরে কাজ করছি, এত পরিশ্রম করছি সেটা কিন্তু সার্থক হয়েছে।

আজ কেমন সেলিব্রেশন চলছে?
সঙ্ঘমিত্রা: আজ তো শ্যুটিংয়েই আছি সকাল থেকে আর আজ ফার্স্ট সিন থেকে লাস্ট সিন পর্যন্ত সবেতেই আমি রয়েছি। তো সবাই আমার পিছনে লাগছে। আর এখন কেক কাটা হবে, কত রকম কেকের অপশন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দেখা যাক কী হয়।
দেখুন ধারাবাহিকের সেটে দুর্গার জন্মদিনের সেলিব্রেশন, নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে। ভিডিও সৌজন্য: অ্যাক্রোপলিস

সঙ্ঘমিত্রা: সবার প্রথমে মেয়েদের স্বাধীনতার বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নিতাম। এখন মেয়েরা অনেক স্বাধীন আগেকার তুলনায়, কিন্তু এখনও আমার চোখের সামনে দেখা... আমার এক পরিচিতের মা এসে বলছিলেন সেদিন যে মেয়ে তো উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে, এর পর গ্র্যাজুয়েশন করবে, তাই এখন থেকেই ছেলে দেখা দরকার। গ্র্যাজুয়েশনটা হয়ে গেলেই বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। এই যে বিষয়গুলো এখনও বাংলার ঘরের কোনায় কোনায় রয়ে গিয়েছে, আমি সবার প্রথমে এই জিনিসগুলো বন্ধ করাতাম। আমার মনে হয়, একজন মেয়ের কেরিয়ার সেট না করে, নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে কোনও সম্পর্কে না জড়ানোই ভাল। আগে যেমন ছিল যে ছেলেরা মেয়েদের দায়িত্ব নেবে আমার মনে মেয়েরা নিজেরাই এখন উপযুক্ত। কোনও ছেলের এখন কোনও মেয়ের দায়িত্ব নিতে হবে না। মেয়েরা সবার দায়িত্ব নেবে। আমি তো নিজে, ব্যক্তিগত জীবনে সেটাই করব। আমি যদি একদিনের মুখ্যমন্ত্রী হই তবে প্রথম এই পদক্ষেপই নেব যাতে বাংলার মেয়েরা স্বাধীন ভাবে নিজেদের কেরিয়ার গড়তে পারে, তাদের আগেভাগেই বিয়ে দেওয়া না হয়।

খবর - এবেলা