সার্ভে করে দেখা গেছে স্তন্যপান করানো এবং স্তন চোষার সাথে স্তন ঝুলে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্তন ঝুলে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এই ঝুলে যাবার ঘটনা কারও ক্ষেত্রে দ্রুত হারে হয় আবার কারও ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে হয়। ঠিক কেন স্তন বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঝুলে যায় সেটা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে কয়েকটি ব্যাপার স্তন ঝুলে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। যেমন সিগারেট খাওয়া, একাধিকবার বাচ্চার জন্ম দেওয়া বা প্রেগন্যান্ট হওয়া, মোটা হয়ে যাওয়া, খুব দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও যাদের স্তনের আকার বড় তাদের ক্ষেত্রে মধ্যাকর্ষণের প্রভাবে অপেক্ষাকৃত কম বয়সেই স্তন ঝুলে যেতে পারে। কিছু গবেষক মনে করেন যে দৌড়ানো বা জগিং করার সময় স্তনের অতিরিক্ত আন্দোলনও স্তন ঝুলে যাওয়া ত্বরান্বিত করে।
স্তন মূলত নরম গ্রন্থিযুক্ত টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত। স্তনে কোন পেশী থাকেনা। বয়স বাড়লে (বিশেষত মেনোপজের পর থেকে) স্তনের আবরক ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে, যা স্তন ঝুলে যাবার একটি কারণ। সিগারেট খেলে কম বয়সেই ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে স্তন ঝুলে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় হরমোনের প্রভাবে স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় ও স্তনের আবরক ত্বক প্রসারিত হয়। শিশু স্তনপান করা ছেড়ে দিলে আবার স্তনের আকার খানিকটা ছোট হয়। বারবার গর্ভবতি হলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির ফলে স্তনের দৃঢ়তা কমতে থাকে ও স্তন ঝুলে যায়। যেহেতু স্তনে কোন পেশী থাকেনা তাই এক্সারসাইজের মাধ্যমে স্তন ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। নিয়মিত ব্রা পরেও স্তন ঝুলে যাওয়া আটকানো যায়না। ঝুলে যাওয়া স্তন ঠিক করার একমাত্র উপায় প্লাস্টিক সার্জারী। এই পদ্ধতিতে অপারেশন করে স্তনের আকার, আয়তন, চুচুকের অবস্থান ইত্যাদি ঠিক করা হয়। এছাড়া “breast implants” করেও ঝুলে যাওয়া স্তনকে পুনরায় টানটান করা যেতে পারে। শেষ করার আগে বলব যে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু জিনিস হারিয়ে ফেলা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এইসব হারানো জিনিস নিয়ে চিন্তা করতে থাকলে বর্তমানে যা রয়েছে সেগুলোর সঠিক কদর আমরা করতে পারবনা। ভালো থাকুন।