২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের পর টেস্ট লিগ চালু করতে যাচ্ছে আইসিসি। বাংলাদেশসহ টেস্ট র্যাংকিংয়ের প্রথম ৯টি দল এই লিগে অংশ নিতে পারবে। আর ৪ বছরে কমপক্ষে ১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে প্রতিটি দল। ফলে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১২টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশও। সম্প্রতি লন্ডনে আইসিসির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। আগামী অক্টোবরে আইসিসির পরবর্তী সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে মাত্র ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। একসই সময়ে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ১২টি করে; ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩টি করে এবং শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ১৪টি করে টেস্ট খেলেছে। এই ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬টি টেস্ট খেলেছে নিউজিল্যান্ড।
আইসিসির সভায় টেস্ট লিগের অনুমোদন দেওয়া হলে ২০১৯ সাল থেকে পরবর্তী ৪ বছরে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে টেস্ট খেলবে টিম টাইগার। তবে এই সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো টেস্ট সিডিউল দেওয়া হয়নি। আইসিসির টেস্ট লিগের সেরা দুইটি দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টেস্ট খেলবে। তাদের মধ্যে জয়ী দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। এই সূচির বাইরে যেকোনো দুইটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটে বোর্ড নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে পারবে।
এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে টেস্ট স্ট্যাটাস থাকা অন্য ৩টি দল জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান এই টেস্ট লিগের বাইরে থাকবে। এর মধ্যে অন্য যেকোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নির্দেশনা দিয়েছে আইসিসি। অন্যদিকে নতুন টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে অভিষেক টেস্ট আয়োজনে তাড়াহুড়া না করতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
খবর - অর্থসূচক