শেষরক্ষা হল না। অবশেষে মডেল-অভিনেত্রী সনিকা চৌহান মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কসবার একটি শপিং মলের কাছ থেকে বিক্রমকে থানায় নিয়ে এসে কিছুক্ষণ পর বিক্রমকে গ্রেফতার ঘোষণা করে কলকাতা পুলিশ। গত ২৯ এপ্রিল মাঝরাতে কলকাতার লেক মলের কাছে রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সনিকা সিং চৌহানের। এই ঘটনায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ ওঠে বিক্রমের বিরুদ্ধে। সেইসময়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো সহ একাধিক ধারায় বিক্রমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ।
সনিকা মৃত্যুর ঘটনায় যেগুলিকে লঘু ধারা বলেই মনে করা হচ্ছিল। সনিকার পরিবারের তরফেও দাবি করা হয় যাতে সত্য উদঘাটিত হয়। কীভাবে সনিকা মারা গেলেন, বিক্রম কী করছিলেন, এই সবই জানতে চেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সনিকার বন্ধুদের তরফেও পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়া হয়। বিক্রম দাবি করেছিলেন তিনি সেদিন মদ্যপ ছিলেন না। পরে দাবি করেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাননি। যদিও সেদিন বিক্রম-সনিকা একসঙ্গে একটার বেশি পার্টিতে যান। সেখানে বিক্রম মদ্যপান করেন বলে গোপন জবানবন্দিতে জানান সনিকার বন্ধুরা। এর পাশাপাশি সনিকার মৃত্যুর আসল সত্য জানতে চেয়ে স্যোশাল মিডিয়াতেও ঝড় উপচে পড়ে। প্রথমে টালিগঞ্জ থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে লালবাজারের বিশেষ দল তদন্তে নামে।
বিক্রমের গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা হয়। বিক্রমের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্রম যে মিথ্যা কথা বলেছেন তার প্রমাণ পুলিশের হাতে এসে গিয়েছে। এরপরই বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা যোগ করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্রম যখন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কসবার একটি মলের কাছে গিয়েছিলেন, তখন সেখান থেকে অভিনেতাকে থানায় এসে পরে গ্রেফতার করা হয়। সনিকা মৃত্যুর প্রায় ৭০ দিনের মাথায় এই গ্রেফতারি হল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।