একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে আজকের প্রজন্ম যেসব রোগে বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, বন্ধাত্ব্য, সংক্রমণ, সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস , উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ডিজিজ প্রভৃতি। আর এই সব রোগের প্রকোপ কমাতে পারে একটি মাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধ, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ওষুধটি বানাতে যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পরবে: ১. শুকনো জলপাই গাছের পাতা- ৫ থেকে ৬ টা ২. জল- ২ গ্লাস গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে গেছে যে এই ঘরোয়া ওষুধটি বাস্তবিকই আধুনিক সব রোগ সরাতে কার্যকরি ভূমিকা নিয়ে থাকে। সেই কারণেই তো শুধু আমাদের দেশে নয়, পাশ্চাত্য দেশগুলিতেও এর ব্যবহার চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাড়বে নাই বা কেন বলুন! জলপাই বা অলিভ পাতার গুণাগুণ কী কম! এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিশেষ কিছু এনজাইম এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ সংক্রমণের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে, কোলেস্টরল কমাতে, ওজন হ্রাসে এবং কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, অলিভ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসদের দ্রুত মেরে ফেলে। ফলে ঠান্ডা লাগা, ভাইরাল ইনফেকশন, ভাইরাল ফিবার, গলার সংক্রমণ, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, টিউবারকুলোসিস এবং হার্পিসের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা কেন এই ঘরোয়া ওষুধটির পক্ষে এত জোরালো সাওয়াল করা শুরু করেছেন। আর অপেক্ষা নয়। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ওষুদটি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি: ১. পরিমাণ মতো জলে ড্রাই অলিভ পাতাগুলিকে কম করে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ২. সময় হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিন। তারপর ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ৩. ফোটানো হয়ে গেলে জলটা একটা শিশিতে ঢেলে রাখুন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের পর এই জলটি পান করতে হবে। ৪. ইচ্ছা হলে এই পানীয়টি বানানোর সময় অল্প করে মধু মেশাতে পারেন। তাতে স্বাদের উন্নতি ঘটবে।