মজান মাসে সিয়াম পালন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ। অর্থাৎ, এটি অত্যাবশকীয় ইবাদত। অত্যাবশকীয় হলেও ইসলামের অন্যান্য ফরজ ইবাদতের মতোই রোজাদারের শরীরিক-মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে। তাই যথাযথ ক্ষেত্রে রোজা ভঙ্গ করার অনুমোদন আছে। জেনে নেওয়া যাক কাদের উপর রোজা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে-
- অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয়। - অসুখ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে রোজা ভাঙ্গা জায়েজ। পরে কাযা আদায় করতে হবে।
- মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির উপর রোজা ফরজ নয়।
- বয়স্ক বা সুস্থ হওয়ার আশা নাই, এমন রোগী রোজা ভাঙতে পারবেন। তবে তাদের পক্ষ হতে প্রতিদিন একজন গরিবকে খাওয়াতে হবে।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদায়ী নারীর ক্ষেত্রে রোজার কারণে শিশু বা মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে রোজা ভাঙ্গা যাবে। পরে কাজা আদায় করতে হবে।
- ঋতুস্রাব চলাকালে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নিফাসের রক্ত প্রবহমান থাকা অবস্থায় রোজা রাখা নিষেধ। পরে কাজা আদায় করতে হবে।
- দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে রোজা ভাঙতে বাধ্য হলে কাজা আদায় করতে হবে।
- ভ্রমণ অবস্থায় রোজা ভাঙ্গা বা রাখা উভয়ই বৈধ। কষ্ট অনুভব হলে ভাঙ্গাই উত্তম। পরে কাজা আদায় করলে চলবে।
ছবি ক্রেডিট - Kazi Md Mahaseen