উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, গরম পানি প্রয়োজন মত, জাফরান সামান্য, দুধ আধা কাপ, ঘি: ২ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা কুচি: ১ কাপ, কাচা মরিচ কুচি: ইচ্ছে মত, পেয়াজ কুচি ৩ টি বড়, কাজুবাদাম: ৮-১০ টি, পেস্তাবাদাম:৮-১০ টি, কিসমিস: আধা কাপ।
মাংসের উপকরণ:
মুরগি: ১ কেজি (একটু বড় করে টুকরা করা), তেল ৩/৪ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলা গুড়া(এলাচ, দারচিনি, জয়ফল, জয়ত্রী, গোল মরিচ) অথবা বিরিয়ানি মসলা:8 টেবিল চামচ,লবন: প্রয়োজন মত(বিরিয়ানির মসলা ব্যবহার করলে লবন বুঝে দিতে হবে. কারণ প্যাকেট এর মসলায় লবন থাকে), লেবুর রস: ২ টেবিল চামচ, টক দই : ৩ কাপ।
বিরিয়ানির ভাত রান্না: বাসমতি চাল: আধা কেজি, তেজপাতা ২ টি, এলাচ: ৫ টি, দারুচিনি: ২ টুকরা, লবন: ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে. মাংসের সব উপকরণ বিরিয়ানি রান্নার হাড়িতে মিশিয়ে ২-৩ ঘন্টা একটু ঠান্ডা জায়গায় রেখে দিতে হবে. সারা রাত মেরিনেট করে রাখলে আরো ভালো. ময়দায় গরম পানি দিয়ে রুটির কাই তৈরী করে রাখতে হবে. জাফরান দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে. পেয়াজ বেরেস্তা করে এক পাশে রাখতে হবে. ২ রকমের বাদাম তেল এর মধে হালকা ভেজে নিতে হবে. একটি বড় হাড়িতে পানি গরম দিতে হবে. পানি গরম হলে তাতে ভাত রান্নার উপকরণ(চাল বাদে) দিতে হবে. পানি ভালো মত ফুটে চাল ছেড়ে দিতে হবে.চাল আধা ফুটে গেলে চালনির নিচে কোনো বড় পত্র দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে. যাতে কিছু মাড় অবশিষ্ট থাকে। আরেক পাশে মাংসের হাড়ি টি চুলার উপর অল্প আচে বসিয়ে মাংসের উপর পেয়াজ বেরেস্তা, পুদিনা, ধনেপাতা, কাচা মরিচ, বাদাম, কিসমিস সুন্দর করে ছড়িয়ে দিতে হবে. এবার আধা ফোটা চাল মাংসের উপর বিছিয়ে দিতে হবে. চালের উপর ঘি, জাফরান ভিজানো দুধ র ১ কাপ ভাতের মার ছড়িয়ে দিতে হবে. এবার কাই করা ময়দা দিয়ে পাত্রের চারপাশে ছড়িয়ে ভালো করে ঢেকে দিতে হবে. এলুমিনিয়াম ফয়েল পেপার থাকলে ময়দার বদলে সেটা বেবহার করা যেতে পারে. অল্প আচে এভাবে ২৫-৩০ মিনিট রান্না করতে হবে. বিরিয়ানির সুগন্ধ বের হলে বুঝতে হবে রান্না হয়ে গিয়েছে। তোলার সময় পাত্রের সাইড থেকে চাল ও মাংস একসাথে তুলে সালাদ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে.
এই বিরিয়ানি ওভেন এও করা যায়. সে ক্ষেত্রে ওভেন প্রুফ পাত্র ব্যবহার করতে হবে. ১১০° তে পাত্রকে এলুমিনিয়াম ফয়েল পেপার দিয়ে ভালো মত ঢেকে ৩০ মিনিটের মত(অথবা বিরিয়ানির সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত) কুক করতে হবে.