পানি ব্যবহারঃ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোড়া জায়গা পানি দিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে । ‘ পোড়াস্থান ‘ কল থকেে পড়ন্ত পানরি নীচে ১৫-২০ মনিটি রাখতে হবে । এর ফলে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া কমে ,’ পোড়াস্থান ‘ বস্তিৃত হতে পারে না , ঘা শুকাতে সহজ হয় ও পরর্বতীতে পোড়া জায়গাতে ‘ সংকোচন ‘ তৈরী হয়না । পোড়াস্থান যদি মুখে , বুকে বা পিঠে হয় , তবে শাওয়ার ছড়েে পানিতে ভিজাতে হবে । এভাবে যদি ব্যথা না কমে , পোড়াস্থান পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে অথবা শেখানে জলপট্রি দিতে হবে । পোড়া জায়গাতে সরাসরি বরফ লাগানো যায় না । তবে পোড়া কম হলে , বরফশীতল পানতিে কাপড় ডুবয়িে সেখানে ঠাণ্ডা সেক দেওয়া যায় ।
অ্যালোভরোর যত্নঃ পোড়া ঘায়ে এর ব্যবহার খুব জনপ্রয়ি । কোথাও পুড়ে গলেে , অ্যালো গাছ থাকে একটা রসালো পাতা নিয়ে তার সবচেয়ে পুরু অংশের , দুপাশের সবুজ খোসা ছরিয়ে নিয়ে পোড়া অংশে লাগিয়ে আঙ্গুল দিয়ে হালকা ভাবে ঘষলে ব্যাথা ক্রমশঃ সেরে যায় । দিনে দুইবার করে কয়েকদিন অ্যালোজলে মাখলে ঘা আস্তে আস্তে শুকয়িে আসে ও পোড়া চামড়া তার আগের রং ফিরে পায় । বাসায় একটা অ্যালোভেরা গাছ থাকলে তা বিভিন্ন ভাবে আমাদরে উপকার করতে পারে ।
ভনিগোর প্রয়োগঃ পোড়া চিকিৎসায় ভনিগোর প্রয়োগ চমৎকার কাজ করে । ভনিগোর পোড়া জায়গার ফোলা ও ব্যাথা কমায় এবং জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে । সম পরমিাণ পানরি সাথে ভনিগোর মিশিয়ে , তাতে ভাজ করা কাপড় ভিজিয়ে জলপট্টরি মত বার বার লাগাতে হয় । বুকে বা পীঠে কোথাও পুড়ে গলেে একটা সুতি কাপরে ভনিগোর পানিতে ভিজিয়ে পরধিান করলে , জ্বালা-পোড়া কমে গয়িে অনকেটা আরাম পাওয়া যায় ও ভালো ঘুম হয় । যে কোন ধরণরে ভনিগোর , আগুনে বা গরম পানিতে পোড়ায় ব্যবহার করা যায় ।
টিব্যাগ স্থাপনঃ টিব্যাগ ( ২-৩ টা ) ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিইয়ে পোড়া জায়গার উপর গজ দিয়ে আটকে রাখলে ভাল কাজ হয় । চা পাতার “ট্যানকি এসডি” পোড়া স্থান থেকে দ্রুত তাপ টেনে নিয়ে জ্বালা-পোড়া কমায় ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে । টিব্যাগ শুকিয়ে আসলে তার উপর ও পোড়ার কিনারে সামান্য ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভিজাতে হবে । পোড়ার উপর টিব্যাগ বসিয়ে হাটা-চলা করা সহজ হয় ।
দইয়ের প্রলপেঃ দই পোড়ার প্রতষিধেক হিসাবে পরিচিত । উহা পোড়া উপশম করতে ও তা ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে । পোড়াস্থানরে উপর ঠাণ্ডা দই মেখে ১৫-২০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলতে হয় । ব্যাথা ও ফোলা কমাতে দইয়ের প্রলেপ বার বার লাগানো যায় । সাধারণ টক দই এ চিকিৎসায় ভাল কাজ করে ।
অন্যান্যঃ পোড়া নীরাময়ে চাক-ভাঙ্গা মধুর ব্যবহার বেস ফলদায়ক । গরম খাবারে মুখে পোড়া লাগলে ঘন ঘন ঠাণ্ডা লবণ-পানির কুলতিে উপকার হয় । তা ছাড়া দুধ , সদ্য কাটা আলু , গাজর ইত্যাদি ঘরোয়া চকিৎিসা হসিবেে ব্যবহৃত হয় । কোথাও পুড়ে গলেে ঘরোয়া চকিৎিসার পাশাপাশি প্রয়োজনে ডাক্তার দখোনো দরকার । অতি মাত্রায় পুড়ে গলেে সাথে সাথে হাসপাতালে নয়িে যতেে হয় । মনে রাখতে হবে , গায়ে আগুন লাগলে , না দৌড়ে মাটতিে শুয়ে পরে গড়াগড়ি দতিে হবে । আশপোশে কউে থাকলে , আগুন লাগা ব্যক্তকিে কাঁথা বা কম্বল দয়িে জড়য়িে ধরে তার আগুন নভিানো যায় । হাতে আংটি , নাকফুল বা অন্য কোন জুয়লোরি থাকলে প্রয়োজনে তা খুলে ফলেতে হবে । পোড়া ঘায়ে ফোস্কা পড়লে তা ফুটো করা যাবে না । বেশি পুড়ে গলেে ধনুষ্টংকাররে ইঞ্জকেশান নতিে হয় । আগুণ লাগার স্থান থকেে যথাসম্ভব দূরে ও বাতাসরে বপিরীত দকিে অবস্থান করা উচৎি । পোড়ার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনে ডাক্তাররে পরার্মশ নওেয়া দরকার ।