কুড়িগ্রামের ব্রম্মপুত্র পুর্বপাড় ভারতীয় আসাম সীমান্ত ঘেষা রৌমারী উপজেলার একমাত্র ঢাকা-টু রৌমারী ডিসি রাস্তা জামালপুর ধানুয়া কামালপুর রৌমারী ভায়া দাঁতভাঙ্গা রোড মোট ২৯ কিলোমিটার এর মধ্যে টালুয়ারচর হতে রাজিবপুর সীমানা শেষ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজে নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রী ব্যাবহারের অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে। এ নিয়ে সড়কের আশপাশের এলাকার লোকজন সহ পথচারীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঢাকা গামী ডিসি রাস্তাটি এ দু’টি উপজেলার একমাত্র উন্নয়নের উৎস। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাধারন মানুষ মৃত ও অহরহ আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সম্প্রতি ডিসি রাস্তার টালুয়ারচর হাফেজি মাদ্রাসা হতে রাজিবপুরের শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার ও কার্পেটিংয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জানা গেছে, রাস্তা সংস্কার কাজের দরপত্রে কাজ পায় মের্সাস র্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড গত ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। দরপত্র অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ জুন এর মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। আরো জানা যায়, রাস্তা টিকসই রাখার জন্য গাইড ওয়ালের ব্যবস্থা রয়েছে পর্যাপ্ত, কার্যাদেশে কালো পাথর দিয়ে ৫/১ এর বালু সিমেন্ট মিশ্রিত ৮ মিলিঃ রড দ্বারা খাচা তৈরী করে ৫ ইঞ্চি পরিমান ঢালাই পুরু করার কথা উল্লেখ রহিয়াছে, ও ১নং ইট দ্বারা ওয়াল নির্মান কাজ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের মনগড়া ভাবে নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় জায়গায় না দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় গাইড ওয়াল গুলি নির্মান করা হয়েছে।
এবং সড়ক সংস্কারে ১ নম্বর ছিলকোট পাথর ১২ এমএম, ভাল প্রাইমকোট, কার্পেটিং থিকনেছ ৫০ এমএম এবং মাটির কাজ ৩ ফিট এপাশ ওপাশ ও স্লোপে দুরমুজ করার কথা থাকলেও তা বৃদ্ধাঙ্গৃলি দেখিয়ে নিয়ম মাফিক কাজ না করে খুটির জোরে নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার সড়কে ব্যবহৃত কাপেটিং কাজে মাটির উপরে প্রাইমকোট ব্যাবহার, নিম্ন মানের সামগ্রী দেয়ায় কোথাও কোথাও বিটুমিন পাথর উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ করেন মোশারাফ হোসেন সভাপতি যুবলীগ যাদুরচর ইউনিয়ন শাখা, প্রভাষক আব্দুল মালেক সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা যুবলীগ রৌমারীসহ উক্ত এলাকার আব্বাস উদ্দিন, আব্দুর রহিম, শালু মিয়া সহ আরো অনেকে বলেন, রাস্তার কাজ খুব খারাপ করছে। প্রাইমকোট মাটির উপরে ও বিটুমিন যে ভাবে দিয়েছে তা ভালো না। যদি ভালো হতো তাহলে ২ দিন যেতে না যেতেই গাড়ীর চাকার সাথে বিটুমিন গুলি উঠে যাইতেছে। ইহা দেখার কেউ নাই। যাদুরচর এলাকার ট্রাক ড্রাইভার সলেমান, আবদার আলী, নরসিংদী জেলার ট্রাক ড্রাইভার রমজান আলী বলেন, এ রাস্তায় কয়েকদিন থেকে ট্রাকে করে গরু সহ ধান ভুট্রা নেওয়ার জন্য আসি। নতুন করে কার্পেটিং করছে এর উপরে দিয়ে চলাচল করলে কার্পেটিং উঠে যায়। যে কাজ হচ্ছে তা মানসম্মত নয় এবং এমন খারাপ কাজ আর কোথাও দেখিনি। যাদুরচর এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকগণ ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গগণ বলেন, আমরা প্রতিদিন স্কুলে এবং হাট বাজারে চলাচল করে আসছি। মোটরসাইকেলের চাকায় কার্পেটিং এর পাথর উঠে আসে। তাতে বুঝা যায় পিচ ও বিটুমিন পাথর নিম্ন মানের দিয়েছে। এবং সামনে গাইড ওয়াল প্রটেকশন কাজে বালুর পরিমান বেশী এবং সিমেন্টের পরিমান কমদিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে সওজ প্রোকৌশলী কুড়িগ্রাম মোঃ খোরশেদ আলম কে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কুড়িগ্রাম/রৌমারী/শওকত আলী মন্ডল