১. সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে:
গরমের সময় ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচাতে মুক্তকে কাজে লাগাতে পারেন। মুক্তর গুঁড়োর সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তারপর এই পেস্টটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে ফেলুন। অল্প সময় রেখে মুখটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, এই ফেস মাস্কটি অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচানোর পাশপাশি সান ট্যানের হাত থেকেও রক্ষা করে। এখানেই শেষ নয়। সার্বিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও মুক্তর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
২. উজ্জ্বল-প্রাণবন্ত ত্বক পেতে:
মুক্তয় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং ভিটামিন, যা ভিতর থেকে ত্বককে সুন্দর এবং উজ্জ্বল করে তোলে। এক্ষেত্রে কীভাবে মুখে লাগাতে হবে মুক্তর পাউডার? প্রথমে একটি কলা চটকে নিন। তারপর তার সঙ্গে অল্প করে মুক্তর গুঁড়ো মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার এই পেস্টটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন।
৩. ত্বককে পরিষ্কার রাখতে:
এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকার কারণে ত্বককে পরিষ্কার রাখতে মুক্ত দারুন কাজে লাগে। তাই তো তৌলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করার পাশপাশি মুখকে পরিষ্কার রাখতে অল্প করে মুক্তর গুঁড়ো, পরিমাণ মতো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ফেলুন। অল্প সময় রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, আজকাল যে হারে দূষণ বাড়ছে, তাতে ত্বককে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করতে এই ফেস মাস্কটি দারুন কাজে আসে।
৪. ফর্সা হতে:
প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকার কারণে ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা বানাতে দারুনভাবে সাহায্য করে মুক্ত। তাই আপনিও যদি উজ্জ্বল এবং ফর্সা ত্বক পেতে চান, তাহলে অল্প করে মুক্তর পাউডার নিয়ে মধু এবং দুধের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে কিছু সময় মাসাজা করুন। সময় হয়ে গেলে মুখটা ধুয়ে নিন। নিয়মিত এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন নিমেষে আপনার ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।
৫. মৃত কোষের আবরণ সরিয়ে ফেলতে:
ত্বকের উপরিঅংশে প্রতিনিয়ত মৃত কোষেরা জমা হচ্ছে। যাদের ঠিক সময়ে সরিয়ে ফলতে না পারলে ত্বকের সৌন্দর্য কমতে শুরু করে। এখন প্রশ্ন হল, মৃত কোষের আবরণকে সরাতে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে মুক্তকে? অল্প করে মুক্তর পাউডার নিয়ে পরিমাণ মতো চন্দনের গুঁড়ো এবং অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রন মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সময় হয়ে গেল ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, মুক্তয় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারি এনজাইম, যা ত্বককে পরিষ্কার করে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. ব্রণর প্রকোপ কমায়:
আপনিও এমন ধরনের ত্বকের রোগে ভুগছেন? তাহলে আজ থেকেই কাজে লাগাতে শুরু করে দিন মুক্তকে। কারণ ত্বককে পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে ব্রণর প্রকোপ কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অল্প করে মুক্তর পাউডার নিয়ে দুধের সরের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটা কয়েক মিনিট ভাল করে মাসাজ করুন। দেখবেন ব্রণর সমস্যা কমতে শুরু করবে।
৭. ত্বকের বয়স কমায়:
মুক্তয় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি এজিং এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করার মধ্যে দিয়ে স্কিনের বয়স কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, বলিরেখা কমাতে মুক্তর কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে অল্প করে মুক্তর পাউডার নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রন মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
৮. ত্বককে টানটান করে:
অল্প করে মুক্তর গুঁড়োর সঙ্গে ফল দিয়ে বানানো যে কোনও ফেস মাস্ক মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে কিছু দিন অন্তর অন্তর ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক টানাটান এবং সুন্দর হয়ে ওঠে।