আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

বাচ্চার সর্দি কাশি হলেই সিরাপ দেবেন না, কারন ...

সবে শীত শেষ হলো। এমন আবহাওয়ায় ছোট বড় সবারইেএকটু আধটু সর্দি, জ্বর বা কাশির সমস্যা দেখা দেয়। আর শিশুর এমন সমস্যা দেখা দিলে হলে মা-বাবার উৎকণ্ঠার শেষ থাকে না। চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ারও তর সয় না তাদের।

শিশুর সর্দি-কাশি বা জ্বর হলে নিজেদের কাছে থাকা কোনো ট্যাবলেট বা সিরাপ খাইয়ে শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসাটা সেরে নেন মা-বাবা। এতে শিশুর জ্বর বা সর্দি খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়। ফলে যতবার শিশুর শরীর খারাপ হয়, মা-বাবা ততবার একই কাজ করেন। অনেক পরিবার শিশুর হালকা সর্দি-কাশি অথবা জ্বরে হাতের কাছে থাকা বড়দের ওষুধ খাইয়ে দেন।

অনেকে মনে করেন, বড়দের ওষুধের ছোট ডোজ শিশুদের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল। বড়দের ওষুধ শিশুদের প্রচণ্ড ক্ষতি করে। এমনকি শিশুদের জন্য তৈরি ওষুধও কোনো কোনো সময় নবজাতকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বড়দের ওষুধ শিশুদের জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ।

এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নবজাতকদের কোনো ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। যেমন কফ-সিরাপ বা প্যারাসিটামল ওষুধের কথা ধরুন; এসব ওষুধে যে সব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা বড়দের শরীরের জন্য উপযোগী হলেও ছোটদের জন্য তা খুব ক্ষতিকর। প্রাথমিক অবস্থায় এসব ওষুধে উপকার পাওয়া গেলেও ভবিষ্যতে এই ওষুধই শিশুর দেহের জন্য ভয়াবহ রূপ নেয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ওষুধের রাসায়নিক ফর্মুলা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে খাপ খায় না। ফলে শিশুরা নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়।

যদি শিশুর জ্বর হয়, তাহলে ঠান্ডা পানি দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন কনকনে ঠান্ডা না হয়। আর সর্দি বা কাশিতে ভোগা শিশুর নাক ঘনঘন পরিষ্কার করে দিন। বিশেষ করে শিশুর খাবার খাওয়া এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

বুকের দুধ খায় এমন শিশুর সর্দি-কাশি হলে খেতে অসুবিধা হয়। তাই বলে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিবেন না। বুকের দুধ শিশুকে অসুখের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে এবং শিশুটি বৃদ্ধির জন্যও জরুরি। তাই মা দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাবেন। যদি শিশুটি দুধ টানতে না পারে, তাহলে বুকের দুধ একটি পরিষ্কার কাপে বের করে খাওয়াতে পারেন।

আর যেসব শিশু বুকের দুধ খায় না, তাদের একবারে জোর না করে অল্প অল্প করে খেতে উৎসাহিত করুন। অসুখ সেরে গেলে অন্তত এক সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুটিকে প্রতিদিন একবার বাড়তি খাবার খাওয়ান। অসুস্থতার আগে শিশুর যা ওজন ছিল, অন্তত সেই ওজন ফিরে না আসা পর্যন্ত শিশুটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলা যাবে না।