মুখের ত্বকের ব্রণের সমস্যার মতোই মারাত্মক আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পিঠে ব্রণের সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অনেকের তো এমন হয় যে মুখের ত্বকে ব্রণ না উঠলেও পিঠের ত্বকে অনেক ব্রণ উঠে থাকেন। এই নিয়ে অনেকে নিজের অনেক পছন্দের পোশাক পরা থেকেও বিরত থাকেন। অনেকে বেশ অস্বস্তি বোধ করেন। এই পিঠের ব্রণের সমস্যাও রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে রেহাই পাবেন এই সমস্যা থেকে।
টমেটোর মাস্ক
টমেটোর ভিটামিন এ এবং সি শুধুমাত্র আমাদের দেহের অভ্যন্তরেই কাজ করে তা নয়। এটি পিঠের ব্রণও দূর করে খুব সহজেই। প্রথমে টমেটো নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। মিহি ব্লেন্ড করবেন না। এই ব্লেন্ড করা টমেটো পিঠের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন ভালো করে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই টমেটো মাস্ক।
হলুদ ও পুদিনার মাস্ক
হলুদ ও পুদিনা দুটোরই রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণ নির্মূলের সাথে ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে রস বের করে নিন। হলুদ বেটে নিন। অথবা চাইলে হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা ও হলুদ একসাথে মশিয়ে নিয়ে পিঠের ত্বকে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফল পাবেন।
গোলাপজল ও লেবুর মাস্ক
এই মাস্কটি ব্রণের সমস্যা সমাধানের সাথে পিঠের ত্বকের কালো দাগ দূর করে পিঠের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে। ভালো কোন গোলাপজলের সাথে তাজা লেবুর রস চিপে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সমান সমান গোলাপজল এবং লেবুর রস নেবেন। এরপর এটি পিঠের ত্বকে লাগাবেন। শুকিয়ে এলে এই আমস্কতি নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ুন। সারাএয়াত রেখে সকালে উঠে পিথ ধুয়ে নেবেন। একদিন পরপর ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
দারুচিনি ও মধুর মাস্ক
মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পিঠের ত্বকের ওপর থেকে ইষ্টের আক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে। পিঠের ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হয়। ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়োর সাথে ২ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটিতে তাজা লেবুর রস দিন ১ টেবিল চামচ। ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সমস্যার সমাধান হবে।