কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল সেনা তেজ বাহাদুর যাদবের সেই মর্মান্তিক ভিডিও। দেশকে রক্ষা করার জন্য যাঁরা চিরজাগ্রত, তাঁদেরই মর্মান্তিক দশা। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর সেনবাহিনীর কপালে জুটছে এমন খাবার যাতে তৃপ্তি তো দূরে থাক, মিলছে না সঠিক পুষ্টি। খাবার বলতে মিলছে কেবল হলুদ গোলা জলের মতো ডাল এবং পোড়া রুটি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গড়িয়েছে অনেক জল। সেনাবাহিনীর ক্যাম্পগুলিতেও এসেছে পরিবর্তন।
কিন্তু কী সেই পরিবর্তন?
জম্মুর সেনা ক্যাম্পের রাঁধুনি থেকে শুরু করে কমান্ড্যান্ট, জুনিয়র এবং সিনিয়র আধিকারিকদের খাদ্যতালিকায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। খাবার হিসাবে সেনাদের মিলছে মাছ, মাখন, ডাল এবং রুটি। আর ফৌজিরা যাতে সঠিক পরিমাণ খাবার পান তা নিয়েও রীতিমতো তৎপরতা অবলম্বন করেছেন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকরা। রেশন এবং খাবারের সঠিক খোঁজ রাখতে বিএসএফের তরফে গঠন করা হয়েছে কমিটি। ডেপুটি কমান্ড্যান্ট আক্রম খান জানিয়েছেন, কমিটির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্যের গুণমানের সঠিক খোঁজ রাখছেন। বাজার থেকে সবজি এবং অন্যান্য খাবার কেনার আগেও সেগুলি পরখ করে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি সেনা সেনাের জন্য দৈনিক ন্যূনতম ৩০০০ ক্যালোরিযুক্ত খাবার বরাদ্দ রাখার নিয়ম রয়েছে। পাশাপাশি বেশি উচ্চতায় থেকে দেশ পাহারা দেওয়ার কাজে যে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের জন্য বরাদ্দ ৩৬০০ ক্যালোরি। ভাল খাবারের পাশাপাশি এই সেনাদের জন্য ড্রাই ফ্রুটসের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এক সেনা আর এস যাদব জানিয়েছেন, “খাবারের মান ভাল। কোনও রকম অভিযোগও তৈরি হচ্ছে না খাবার নিয়ে। বেশিরভাগ সেনাই খাবার নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন না। যদিও খাবার দূরদুরান্তে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝমধ্যে দেরি হয়। সেটা খুব অস্বাভাবিক নয়।”