লাইটিং সিস্টেম :
১) শুধুমাত্র দরকারের সময়ই লাইট জ্বালান। দিনের বেলায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করুন।
২) পারলে সোলার এনার্জি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
৩) পুরো ঘরে আলো না জ্বালিয়ে রেখে পড়াশোনা করার সময় রিডিং লাইট ব্যবহার করুন।
৪) অপরিষ্কার টিউব লাইট বা বাল্ব আরো বেশি ইলেকট্রিসিটি কনজিউম করে। তাই নিয়মিত এদের পরিষ্কার করুন।
৫) সি এফ এল বা (Compact Fluorescent Lamps) ৭০% অবধি কারেন্ট বাঁচায়। তাই এমনি টিউব বা বাল্বের বদলে এগুলো ব্যবহার করুন।
রুম এয়ার কন্ডিশনার
১) গরমকলে যতক্ষণ পারবেন এসির বদলে ফ্যান ব্যবহার করুন। ফ্যানের খরচা একঘন্টায় ৩০ পয়সা হয় সেখানেই এসির খরচা এক ঘন্টায় ৩ টাকা।
২) ঘর ঠান্ডা রাখতে বাইরে গাছপালা লাগান। যারা ফ্ল্যাটে থাকেন তারাও ঘরের মধ্যে ইন্ডোর প্ল্যান্টস রাখুন।
৩) এসির টেম্পারেচার ২২ ডিগ্রীর ওপরে রাখার চেষ্টা করুন। এতে ৩-৫ % অবধি কারেন্ট বাঁচে।
৪) এসি মেশিন ঠিকমত কাজ করছে কিনা খেয়াল রাখুন। টাইমার ফিক্স করে দিন।
৫) এসি চললে দরজা জানলা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
৬) এসির ফিল্টার প্রতি মাসে একবার করে পরিষ্কার করুন।
৭) পুরনো এসি মেশিনের বদলে এনার্জি এফিসিয়েন্ট এসি মেশিন ব্যবহার করুন।
৮) এসির টেম্পারেচার ২২ ডিগ্রীর ওপরে রাখার চেষ্টা করুন। যত কম টেম্পারেচার হবে তত কিন্তু বেশি কারেন্ট পুড়বে।
রেফ্রিজারেটর :
১) ফ্রিজ সব সময় ডাইরেক্ট সানলাইট‚ গ্যাস ওভেন‚ রেডিয়েটার বা কুকিং রেঞ্জের থেকে দূরে রাখুন।
২) ফ্রিজের কমপ্রেসার থেকে হিট বেরোয় তাই ফ্রিজের আশেপাশে যথেষ্ট জায়গা রাখুন যাতে এটা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হতে পারে।
৩) ফ্রিজের দরজা খোলার অগে ঠিক করে নিন কী বের করতে হবে। বেশিক্ষণ দরজা খোলা রাখা মানে বেশি কারেন্ট খরচা।
৪) খাবার ঠান্ডা করে তবে তা ফ্রিজে তুলে রাখুন। এর ফলে অনেক কম এনার্জি লাগবে।
৫) ফ্রিজের কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখুন।
ওয়াটার হিটার :
১) কারেন্ট খরচা কমাতে প্ল্যাস্টিক পাইপ পাল্টে ফেলুন।
২) ওয়াটার হিটারের টেম্পারেচার ৬০ ডিগ্রীর বদলে ৫০ ডিগ্রী করে রাখুন। এতে ১৮% অবধি কারেন্টের সাশ্রয় হবে।
মাইক্রোওয়েভ‚ ওভেন আর ইলেকট্রিক কেটল :
১) মাইক্রোওয়েভে রান্না তাড়াতাড়ি হয় ফলে ৫০ পর্সেন্ট অবধি কুকিং কস্ট কমানো যায়। বিশেষত কম পরিমাণে যদি রান্না করেন সেই ক্ষেত্রে মাইক্রো ওয়েভ বেস্ট।
২) ফ্রিজ থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম না করে কিছুক্ষণ রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন। এর ফলে অনেক কম কারেন্ট পুড়বে।
৩) ইলেক্ট্রিক কেটল নোংরা থাকলে অনেক বেশি কারেন্ট পুড়বে। তাই নিয়মিত গরম জল ও ভিনিগার দিয়ে তা পরিষ্কার করুন।
৪) ইলেকট্রিক কেটল ব্যবহার করার সময় মনে রাখুন আপনার যতটা জল লাগবে ততটাই গরম করুন। দরকারের থেকে বেশি জল গরম করা মানে বেশি কারেন্ট খরচা।
কম্পিউটার :
১) যখন দরকার লাগবে না তখন ঘরের বা অফিসের কম্পিউটার বন্ধ করে রাখুন। একটা এনার্জি এফিসিয়েন্ট ফ্রিজের থেকে একটা কম্পিউটার যা ২৪ ঘন্টা অন থাকে তার এনার্জি কনসাম্পেশন কিন্তু অনেক বেশি।
২) যদি কম্পিউটার অন রাখতেই হয় তাহলে মনিটার অফ করে দিন।
৩) কম্পুটার ও মনিটার স্লিপ মোডে রাখার চেষ্টা করুন। এরফলে ৪০% অবধি কারেন্ট বাঁচাতে পারবেন।
৪) মোবাইল ফোন কম্পিউটারের ব্যাটারী চার্জার প্লাগ থেকে খুলে রাখুন।
এছাড়াও ওয়াশিং মেশিনের প্লাগ সব সময় খুলে রাখুন আর ওয়াসিং মেশিনের জন্য যে ডিটারজেন্ট পাওয়া যায় তাই ব্যবহার করুন। এমনি ডিটার্জেন্টে অনেক বেশি ফেনা হয়। ফলে সেগুলো যদি ওয়াশিং মেশিনের জন্য ব্যবহার করবেন তাহলে বেশি জল লাগবে এবং কারেন্ট খরচাও হবে অনেক বেশি।