অন্য সব ঋতুর তুলনায় শীতকালটা সবারই একটু বেশি প্রিয়। তবে এই সময়টা অন্য সময়ের চেয়ে অলসতা ভর করে একটু বেশি। শীতকালে উষ্ণ কম্বলের নিচে বসে ভাঁজা ভুজি খাবার খেতে খেতে টিভি দেখার মজাই আলাদা।
শীতকাল মানেই ছুটির আমেজ থাকে। আর তাই এসব কারনেই এই ঋতুতে দেহের ওজনও বৃদ্ধি পায় একটু বেশি। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে পেটের মেদ জমার উপর। যদিও এই সমস্যার উত্তম সমাধান হচ্ছে ব্যায়াম করা। আবার একই সাথে মজার মজার খাবারও উপেক্ষা করা যায় না। তবে যদি পেটের মেদের জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করা যায় তবে খাবারের মাধ্যমেই তা কমানো সম্ভব।
পেটের মেদ কমানোর কিছু খাবার:
এই টকদই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হওয়ার পাশাপাশি এতে পেটের মেদ কমানোর কার্যকর উপাদানও থাকে। যার ফলে এটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসি এর একটি গবেষণায়, ৩৪ জনের স্থূল মানুষের মাঝে ১৫ জনকে ৪০০-৫০০গ্রাম ক্যালসিয়াম দই থেকে দেয়া হয়। আর অন্যদের ১০০গ্রাম খেতে দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন পর দেখা যায় ৫০০গ্রাম দই যাদেরকে খেতে দেয়া হয়েছিল তাদের, অন্যদের তুলনায় পেটের মেদ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
সয়াবিন হচ্ছে প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি নিয়মিত ভাবে সুষম খাবারের অংশ হওয়া উচিত। সয়াবিন বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধির একটি উত্তম খাবার। এটি খাবার হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। শারীরিক ব্যায়ামের পর সয়াবিন খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পেটের মেদ কমানোর জন্য আরো উত্তম খাবার হচ্ছে সব ধরনের বেরি ফল। এদের ক্যালোরি শোষণ করার ক্ষমতা আছে। তাই অনেক সময় যখন অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায় তখন সেই ক্যালরিকে নিরপেক্ষ করতে বেরি ফল সাহায্য করে। এগুলোও ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
সবজি হচ্ছে ভিটামিনের খুব ভাল উৎস। আর ভিটামিন হচ্ছে শীতকালে ত্বকের যত্নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শীতকালীন সবজির স্যুপ খেলে ক্ষুধা কম লাগে যার ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। এটি অনেক্ষন পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। তাই দুপুরে বা রাতে খাওয়ার আগে এক বাটি সবজির স্যুপ খেতে পারেন।
ক্যালসিয়ামের একটি উত্তম উৎস হচ্ছে মূলা। যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকে অমেগা ফ্যাটি এসিড যা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। এটি স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে এবং শীতকালের ত্বকের যত্নের জন্য একটি ভাল উপাদান। তবে সব কথার শেষ কথা হচ্ছে এসব খাবার খাওয়া হলেও পেটের মেদ কমাতে ভালো ফল পেতে শারীরিক ব্যায়ামের অবশ্যই প্রয়োজন আছে।