উপকরণ:
১. কাস্টার্ড পাউডার – ৩/৪ ভাগ কাপ একটু বেশি
২. আটা – ১ আর ১/২ কাপ
৩. গুড়া করা চিনি – ১/২ কাপ
৪. লবন – সাদ মত
৫. ঘি / সয়াবীন তেল – ১ কাপ
৬. বেকিং পাউডার – ৩/৪ ভাগ চা চামচ
৭. বেকিং সোডা – ১/৪ ভাগ চা চামচ এর একটু কম
যে ভাবে তৈরী করবেন:
প্রথমে একটি ছড়ানো বাটি তে একটি ছাকনি বসিয়ে তাতে সব শুকনো উপকরণ গুলো ঢেলে দিয়ে চেলে নিতে হবে যাতে কোনো চাকা বা দলা না থাকে। সব শুকনো মিশ্রন গুলো হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর ৩ বার এ ঘি দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। রুটি তৈরী এর সময় যেমন আটা মলতে হয়, তেমন করে মলতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ডো তৈরী না হয়। (যদি দেখেন যে ডো টা বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে বা বেশি নরম হয়ে যাচ্ছে, তখন আবার সামান্য ঘি / তেল দিয়ে ময়ান করবেন, কখনো আটা দিবেন না, তাহলে বেশি শক্ত হয়ে যাবে ডো আর পরে বিস্কুট টাও।) ডো টা এমন ভাবে হবে, যে, সেটা হাতে লেগে থাকবে না , এবং বাটি থেকে সব মিশ্রন উঠে আসবে। তারপর ডো টি কে হ্যান্ড রোলার দিয়ে রুটি এর মত করে বেলতে হবে ১/২ ইঞ্চি উচ্চতা রেখে। তারপর যে কোনো সেপ কাটার দিয়ে কেটে একটি প্লেট এ আটা ছিটিয়ে তাতে রেখে দিন। আমার কোনো সেপ কাটার না থাকায় বম এর মুখ ব্যবহার করেছি।তারপর একটি সসপ্যান ২ টেবিল চামচ সমান লবন (বাষ্প তৈরী না হতে এবং পোড়া গন্ধ হওয়া থেকে দুরে থাকতে সাহায্য করবে) দিয়ে তার উপর খাবার রাখার স্ট্যান্ড বসিয়ে দিতে হবে। এর পরে স্টিল / সিলভার এর ছড়ানো বাটি বসিয়ে দিতে হবে। তারপর সেই বাটি তে অয়েল পেপার (যে কোনো নরমাল খাতার কাগজ ব্যাবহার করা যাবে যদি না থাকে) বসিয়ে দিতে হবে ঘি / তেল ব্রাশ করে। পরে সসপ্যান কে প্রি-হিটেড করতে হবে ২-৩ মিন বেশি আঁচে। তারপর সব গুলো বিসকুট কে ৪ ভাগে ভাগ করে সে গুলো কে বাটিতে বসিয়ে দিতে হবে। বিসকুট গুলো বেক হতে ২০-২৫ মিন মত প্রায় সময় লাগবে। চুলা একদম অল্প আঁচে থাকবে এই পর্যায়ে। যখন দেকবেন বিসকুট এর রং কাস্টার্ড এর রং মত ধারণ করছে আর নিচটা হালকা বাদামী হয়ে আসছে, তখনি একটি বড় ছড়ানো চামচ দিয়ে বিসকুট গুলো তুলে নিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। বিসকুট গুলো তোলার সময় এর উপর টা নরম হোয়ে থাকবে। এতে চিন্তার কারণ নাই। বিসকুট গুলো ঠান্ডা হলেই ঠিক হয়ে যাবে। বাকি সবগুলো বিসকুট একই পদ্ধতি তে বেক করতে হবে। সময় টা খেয়াল রাখবেন, না হলে একদম পুরে যাবে। আমার মোট ১৭ টা বিসকুট হয়েছে যা ৪ বার এ বেক করেছি। বিসকুট এর সাইজ এর উপর নির্ভর করে যে কয়্টা তৈরি করা যাবে। এভাবে সবগুলো বিসকুট হয়ে গেলে , তা ঠান্ডা করে একটি কন্টেইনার।/ মুড়ি রাখার টিন এ রেখে দিন. অনেক দিন রেখে খেতে পারবেন ইনস-আল্লাহ। আশা করি আপনাদের আমার রেসিপি ভালো লাগবে যদি ১বার আপনারা তৈরী করে খেয়ে দেখেন।